দেশজুড়ে

আ.লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষ হামলা-ভাঙচুর লুটপাট

মাগুরার বালিদিয়া গ্রামে আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে ১৯ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ৫৪টি বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাটের পাশাপাশি হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে।     সোমবার দুপুরে বালিদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতাবস্থায় আজগর, ফিরোজ মৃধা, মোস্তফা আতিয়ার মোল্লা, উমর শিকদার ও বকুল মোল্লাকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া এনামুল, জাকির, ইদ্রিস মিনহা, হান্নান মিনহা, সামাদ মোল্লা, শাহীন, শেফালী, শামসুন্নাহার, ইতি খাতুন, নাজমুল, হালিম, সুমন ও কাজলকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বালিদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মফিজ মিনা ও ইউনুস শিকদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। সোমবার মফিজ মিনারের ভাতিজি সুমাইয়া প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে অপর আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুস শিকদারের সমর্থক পিকুল ও রেবেকা তাকে মারধর করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে উভয়পক্ষের সমর্থকরা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে হামলাকারীদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় অন্তত ৪ জন রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়। পরে দুইপক্ষ একে অপরের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে। এ ঘটনায় ৫৪টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সেই সঙ্গে হামলা-পাল্টা হামলায় ১৯ জন আহত হয়। খবর পেয়ে মাগুরার সহকারি পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের  কর্তব্যরত চিকিৎসক(আর.এমও) মো: মকছেদুল মোমিন জাগো নিউজকে জানান, আহতদরে মধ্যে বুলেট বিদ্ধ ইতি খাতুনসহ ৪ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। মহম্মদপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।আরাফাত হোসেন/এএম/জেআইএম