যুদ্ধ শিশুদের নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র ‘বর্ন টুগেদার’ প্রদর্শনীর মধ্যে দিয়ে সিলেটে পর্দা উঠেছে দশদিনব্যাপী ‘মানবিক সাধনায় বেঙ্গল সাংস্কৃতিক উৎসব’-এর। উৎসব উপলক আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে বিলুপ্তপ্রায় মৃতশিল্প ও মনিপুরিশাড়ি বুননের স্টল দেয়া হয়েছে।সিলেট নগরের মাছিমপুর এলাকার আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে বুধবার রাত ৮টায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়েরসহ অতিথিগণ বেঙ্গল সংস্কৃতি উৎসব সিলেটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।এর আগে সন্ধ্যায় শবনম ফেরদৌসী নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র বর্ন টুগেদার (জন্মসাথী) প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ উৎসব। সৈয়দ মুজতবা আলী মঞ্চে প্রদর্শিত হয় এ প্রামাণ্যচিত্র। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে মূল মঞ্চ, যেটি নামকরণ করা হয়েছে হাছন রাজা মঞ্চ নামে সেখানে অনুষ্ঠান শুরু হয়। ওয়ার্দা রিহাবের নির্দেশনায় মণিপুরি নৃত্যের মাধ্যমে এ মঞ্চের অনুষ্ঠান শুরু হয়।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সংস্কৃতি চর্চা বাড়াতে সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, আমাদের আগামী প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতির সাথে খাপ খাইয়ে গড়ে তুলতে হবে। ঢাকার বাইরে সিলেটে এ ধরনের বড় উৎসবের আয়োজনের করায় তিনি বেঙ্গল ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানান।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বাংলাদেশকে আমরা দানবের দেশ হিসেবে দেখতে চাই না। মানবের দেশ হিসেবে দেখতে চাই। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে এমন মন্তব্য করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী। রাত সাড়ে ৮টায় এই মঞ্চে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ সিলেটের পরিবেশনায় দেশের গান, অদিতি মহসিনের কণ্ঠে রবীন্দ্র সংগীত এবং ফোক ফিউশন নিয়ে গানের দল জলের গান করে দর্শকদের মন জয় করেন।১০ দিনব্যাপী এ উৎসবে বাদ্যযন্ত্র প্রদর্শনী, কারুশিল্প, সাহিত্য সম্মেলন, গান, চলচ্চিত্র, লোকগান, নাটক, স্থাপত্য প্রদর্শনী, আর্টক্যাম্পে বাংলাদেশি শিল্পীসহ ভারত, নেপাল ও বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা শিল্পিসহ উদীয়মান শিল্পীরাও অংশ নেবেন।প্রতিদিন দুপুর থেকে মধ্যরাতব্যাপী চলবে অনুষ্ঠান। কেবল ২৪ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি উৎসব শুরু হবে সকাল ১০টা থেকে।সংস্কৃতি চর্চার উৎকর্ষকে লক্ষ্য ধরে মানবিক সাধনায় এই প্রথমবারের মতো রাজধানীর বাইরে কোন বিভাগীয় শহরে এত বড় পরিসরের সংস্কৃতি উৎসব আয়োজন করছে বেঙ্গল। সিলেটের এ উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাকের উদ্দেশ্যে।ছামির মাহমুদ/এএম/জেআইএম