খেলাধুলা

ভলিবল মাতাচ্ছেন সাঁতারু ডলি

ডলি আক্তার। সাঁতারু হিসেবেই যার বড় পরিচয়। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা মিলে যার গলায় উঠেছে দুই শতাধিক পদক। দেশের হয়ে তিন তিনটি অলিম্পিক গেমসে অংশ নিয়েছেন রাজবাড়ীর এ জলকন্যা। ২০০০ সালে সিডনি, ২০০৪ সালে এথেন্স ও ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে সাঁতারে অংশ নেয়া ডলি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। অন্যান্য খেলায়ও পারদর্শী। এর মধ্যে সাঁতারের পরই ডলির প্রিয় খেলা ভলিবল। সেই ভলিবলই এখন মাতাচ্ছেন সাঁতারু ডলি। বাংলাদেশ আনসারের সাঁতারু ডলি আক্তার ভলিবল খেলছেন শাহবাগ স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলছেন মহানগরী মহিলা ভলিবলে। ভলিবল খেলা প্রসঙ্গ তুলতেই ডলির কথা ‌ ‘অনেক আগে থেকেই ভলিবল ভীষণ পছন্দ করি। রাজবাড়িতে অনেক দিন ভলিবল খেলেছি। কোচ কখনোই চাইতেন না যে ভলিবল খেলি। এমনও হয়েছে আমি এক গেট দিয়ে ঢুকতাম, উনি আরেক গেট দিয়ে এসে আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে চলে যেতেন। পরে কোচ চলে গেলে আমি আরেক গেট দিয়ে ঢুকে আবারও ভলিবল শেষ করে বাড়িতে ফিরতাম।’আশির দশকে খুলনার মেয়েদের একচেটিয়া আধিপত্য ছিল ভলিবলে। ১৯৭৯ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত একটানা চ্যাম্পিয়ন ছিল খুলনা। সাংগঠনিক দুর্বলতা, পৃষ্ঠপোষকতার অভাবসহ নানা কারণে মেয়েদের ভলিবল পিছিয়ে পড়েছে জেলাটি। সেই দুর্দশা ছুঁয়ে গেছে ডলিকেও। তবে ডলির আশা অচিরেই মেয়েদের ভলিবলে প্রাণ ফিরবে, ‘গ্রামে গঞ্জে, শহরে সব জায়গায় ভলিবল খেলা হয়। ফেডারেশন যদি এভাবে নিয়মিত মহিলাদের ভলিবল আয়োজন করে তাহলে আবারও জনপ্রিয় হবে এটি।’আরআই/এমআর/জেআইএম