দেশজুড়ে

দুই উলফা নেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ভারতের আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) শীর্ষ নেতা মেজর রঞ্জন চৌধুরী ও তার এদেশীয় সহযোগী প্রদীপ মারাককে যাবজ্জীবন করাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের করাদণ্ড দেয়া হয়। বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দুজনকেই যাবজ্জীবন করাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয়মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া অস্ত্র আইনে মেজর রঞ্জন চৌধুরীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হলেও এ মামলায় প্রদীপ মারাককে খালাস দেয়া হয়।উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৭ জুলাই ভোরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার লক্ষীপুর এলাকা থেকে মেজর রঞ্জন ও তার সহযোগী প্রদীপ মারাককে গ্রেফতার করে র‌্যাবে-৯ এর একটি দল। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, হাতবোমা তৈরির উপকরণসহ চারটি বোমা ও অন্যান্য বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।এ ঘটনায় র‌্যাব-৯ ভৈরব ক্যাম্পের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মো. করিমুল্লাহ বাদী হয়ে ভৈরব থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাস দমন আইনে পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেন।ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবড়া জেলার গৌরিপুর থানার মধু শোলমারি গ্রামের মৃত মধুসুধন রায়ের ছেলে উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার সহযোগী রঞ্জন চৌধুরী ওরফে মেজর রঞ্জন ওরফে প্রদীপ রায় (৪৭)। শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার গজনির বাসিন্দা মনিন্দ্র হাগিদ এর মেয়ে রাবিত্র ভ্রমকে বিয়ে করে গোপনে বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন তিনি। প্রদীপ মারাক (৫৭) শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি থানার বাকাকুড়া গ্রামের আরত সাংমার ছেলে।এমজেড/বিএ/পিআর