জয়পুরহাট জেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে দলের একাংশের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে জেলা কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করে বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা। এ সময় সাবেক জেলা কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু, জেলা তাতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা প্রথমে তালাবদ্ধ জেলা কার্যালয়ে ইট-পাটকল নিক্ষেপ ও কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করলে কার্যালয়ের সবকিছু পুড়ে ভুস্মীভূত হয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটানাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে জয়পুরহাট জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, জেলা বিএনপির নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাফিজুর রহমান পলাশের দলের নেতাকর্মীদের কাছে কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মেনে নেয়া যায় না।জয়পুরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, নাফিজুর রহমান পলাশ ২০০৮ সালে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সংস্কারপন্থী হয়ে দল ভাঙার চেষ্টা করেন। পরে জয়পুরহাট জেলা বিএনপি তাকে সহ জেলা কমিটির আটজনকে বহিষ্কার করেন। তিনি দীর্ঘ আট বছর ধরে দলের লড়াই সংগ্রামে কোনো ভূমিকা রাখেননি। তাকে সম্পাদক হিসেবে বিএপির নেতাকর্মীরা মেনে নেবে না।জয়পুরহাট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সভাপতি সেলিম রেজা ডিউক জানান, বিএনপির কর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে তাদের অভিযোগ দিতে পারতো। কিন্তু তারা তা না করে পার্টি অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। জেলা বিএনপি সাংগঠনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এর আগেও জেলা ও উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ও বিক্ষোভ মিছিল এবং জেলা বিএনপির নতুন কমিটির সভাপতি মোজাহার আলী প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক নাফিজুর রহমান পলাশের কুশপুত্তলিকা দাহ করে।গত ২ মার্চ কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সম্পাদক তাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে জয়পুরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি পদে মোজাহার আলী প্রধানকে পুনরায় সভাপতি এবং নাফিজুর রহমান পলাশকে সাধারণ সম্পাদক করে আংশিকভাবে জেলা কমিটি ঘোষণা করেন। রাশেদুজ্জামান/এএম/পিআর