বাগেরহাটের চিতলমারীতে প্রতিপক্ষের হামলায় বিয়ে পণ্ড হওয়ার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বড়বাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই গোলাম নবীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে রোববার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বাগেরহাট পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। অপরদিকে বিয়ে বাড়িতে হামলার ঘটনায় বাড়ির মালিক শেখ ইদ্রিস আলীর ছোট ভাই রফিক শেখ বাদী হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহাগ শেখকে প্রধান আসামিসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এতে অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়। তবে পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংজ চন্দ্র রায় রোববার রাতে বলেন, চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের চিংগুড়ি গ্রামের যে বাড়িতে বিয়ে হচ্ছিল ওই বাড়ির কাছেই পুলিশ ফাঁড়িটি অবস্থিত। শেখ ইদ্রিস আলীর বাড়িতে যখন হামলা হয়েছে তখন যদি ওই পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা ব্যবস্থা নিতেন তাহলে হামলা রোধ করা যেত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের এএসআই গোলাম নবীর দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিলেছে। তাই তাকে ওই ফাঁড়ি থেকে সরিয়ে বাগেরহাট পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার বিয়ের দিনে পূর্ব বিরোধের জের ধরে চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের চিংগুড়ি গ্রামের শেখ ইদ্রিস আলীর বাড়িতে প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।এতে শেখ ইদ্রিস আলীর মেয়ের বিয়ে পণ্ড হয়ে যায়। তাদের হামলায় নারীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। এরপর দিন শুক্রবার দুপুরে পুলিশ প্রহরায় বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। চিতলমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, বিয়ে বাড়ির হামলা করে তা পণ্ড করার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।শওকত আলী বাবু/এএম/আরআইপি