শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার যোগানিয়া গ্রামে সৎমা রাশিদা বেগমকে হত্যা মামলায় সারোয়ার হোসেন সবুজ ওরফে বাচ্চু (২২) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে শেরপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সারোয়ার হোসেন সবুজ ওরফে বাচ্চু নালিতাবাড়ীর যোগানিয়া কান্দা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে। আদালতের অতিরিক্তি পিপি অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ঠাণ্ডু জানান, প্রায় ছয় বছর আগের এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সারোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে যাবজ্জীবন সাজার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, নালিতাবাড়ীর যোগিনায় কান্দা গ্রামে হযরত আলীর সঙ্গে ছেলে সারোয়ার হোসেন সবুজের বনিবনা না হওয়ায় তিনি ছেলেকে জমিজমা থেকে বঞ্চিত করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। এ ঘটনার পেছনে সৎমা রাশিদা বেগমের ষড়যন্ত্র রয়েছে মনে করে সারোয়ার হোসেন সবুজ সৎমায়ের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন। এরই জের ধরে ২০১১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলের দিকে সরোয়ার হোসেন সবুজ বাবার বাড়িতে প্রবেশ করে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে সৎমা রাশিদা বেগমকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই রজব আলী বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করলে পুলিশ সারোয়ার হোসেন সবুজকে গ্রেফতার করে। পরে সৎমাকে হত্যার কথা স্বীকার করে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নালিতাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক মো. মোখলেছুর রহমান মাত্র তিন মাসের মাথায় সারোয়ার হোসেন সবুজকে একমাত্র অভিযুক্ত করে ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। প্রায় ছয় বছর মামলাটির বিচারিক প্রক্রিয়ায় ৯ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার এ রায় ঘোষণা করা হয়। হাকিম বাবুল/আরএআর/পিআর