পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেছেন, খান জাহান আলী বিমানবন্দর বন্দর প্রকল্প চূড়ান্ত করেছে সরকার। আগামী একনেক সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়া হবে। তিনি জানান, বিশ্বব্যাংক ধারণা করছে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হবে। তারা ধারণা থেকে এটা বলেছে, তাদের এ ধারণা সঠিক নয়। কারণ আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তাতে জিডিপি সাড়ে ৬ থেকে ৭ এর কাছাকাছি হবে।রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের এ কথা বলেন তিনি। এ সময় পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম ও পরিকল্পনা সচিব সফিকুল আজমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের বক্তব্যের পর পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের একথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক বলছে গত তিনমাস সবকিছু বন্ধ ছিলো। তাদের ধারণা ভুল। আমদানি-রফতানি সব আগের মতোই ছিলো। কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও খোলা ছিল। কৃষি, শিল্পে রফতানি কমেনি। কোনো কারখানা থেকে কারও চাকরি যায়নি। দেশের সব কিছুই ঠিক ছিল, তবে পরিবহন খাতে খরচ একটু বেশি ছিল।বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, তিন মাসের জায়গায় ১২ মাস হরতাল হলে কি জিডিপি প্রবৃদ্ধি দুই হবে? আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কোনোভাবেই ৬ এর নিচে হবে না।বিশ্বব্যাংকের জিডিপি মূল্যায়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ধারণা করেছিলাম জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ এর উপরে হবে। কিন্তু মাঝে কিছু সময় খারাপ সময় ছিল। তবে তারা যে ধারণা দিয়েছে তা সঠিক নয়। আমরা আন্তর্জাতিক পন্থা অনুরসরণ করে জিডিপি প্রবৃদ্ধির নির্ধারণ করি। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তাতে সাড়ে ৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে।কামাল বলেন, হরতাল-অবরোধে দেশে সামান্য ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি না হলে আরও দুই বিলিয়ন আয় হতো। হরতালে অনেক মানুষ পুড়ে মারা গেছেন। এটি দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।রাজস্ব আয় প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এডিপি ও রাজস্ব আয় একইভাবে হয়। অর্থবছরের শেষ তিন মাসে যেমন এডিপি বাস্তবায়ন ভালো হয়। একইভাবে শেষের তিন মাসে রাজস্ব আয়ও ভালো হবে। ৮ মাসে ৭৯ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে বাকি মাসগুলোতে ৭০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হাতে আসবে।আহম কামাল বলেন, রাজধানীর ঝিলমিল প্রকল্প বাংলাদেশের একখণ্ড মেলবোর্ন হবে। এ বিষয়ে প্রস্তাব আনার জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রীকে বলা হয়েছে। এছাড়া পটুয়াখলীর পায়রায় একটি গভীর সমুদ্রবন্দরও তৈরি করা হবে। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, আপনারা অর্থনীতির স্বার্থে এক হোন। ক্রিকেটে যেমন একমঞ্চে থাকেন, একইভাবে অর্থনীতির মঞ্চে থাকেন। দেশের ক্ষতি করে মানুষ পুড়িয়ে রাজনীতি করার মানে হয় না।এসএ/এইচএস/বিএ/আরআইপি