দেশজুড়ে

জয়পুরহাটে বেগুন চাষে বাম্পার ফলন

জয়পুরহাট সদরের পুরানাপৈল ইউনিয়নের গতন শহর গ্রাম ও পাঁচবিবি উপজেলার চাষীরা বারি বেগুন উত্তরা-১ ও নয়নতারা-৫ জাতের বেগুন চাষে সফলতা পেয়েছেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত ১০টি জাতের মধ্যে ৪টি জাতের বেগুনের মধ্যে পোকারোধক বিটি বেগুন, উত্তরা জাত ও নয়নতারা জয়পুরহাটের চাষীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এদের মধ্যে উত্তরা বেগুনের গাছ খাটো ও ছড়ানো। ফল সরু ও লম্বা এবং হালকা বেগুনী রঙের। চারা রোপণের ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ শুরু হয়। ৩/৪ মাস পর্যন্ত ফল সংগ্রহ করা যায়। প্রতিটি গাছে ১০০-১৫০টি ফল ধরে। বিটি, উত্তরা ও  নয়নতারা বেগুনের চারা মার্চের প্রথম দিকে রোপণ করলে মধ্য মার্চ থেকে মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত এ জাতের বেগুনের ফল সংগ্রহ করা যায়। এই জাতের বেগুনগুলো সব ধরনের মাটিতে ও জলবায়ুতে চাষ উপযোগী। উচ্চ ফলনশীল এই বেগুন চাষে প্রতি হেক্টরে ফলন ৪০-৫০ মেট্রিক টন। ১৪০-১৫০ দিন পর্যন্ত এর ফল সংগ্রহ করা যায়। এই জাতের গাছটি খাড়া আকৃতির। ফল গোলাকৃতির, রং উজ্জ্বল কালচে বেগুনি। গাছ প্রতি ফল ধরে ৩৫-৪০টি। প্রতিটি ফলের ওজন ১২০-১৩০ গ্রাম। সদরের গতন শহর গ্রামের বেগুন চাষী মো. মিরাজুল ইসলাম (৩৭),পাঁচবিবির সুলতানপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম (২৭) ও কিনু পাহান (৪২) জানায়, প্রত্যেকেরই ১ বিঘা জমিতে বিটি বেগুন চাষে খরচ হয়েছে ৪ হাজার ২০০ টাকা। কীটনাশক ছাড়াই এই বেগুন আবাদ করতে পারায় এবার খরচ কম হয়েছে। এরই মধ্যে প্রথম সংগ্রহেই ৩৪ মণ বিটি বেগুন ১৪ হাজার টাকায় বাজারে বিক্রয় করতে পেরেছে। এতে তাদের প্রত্যেকের প্রথম ধাপেই খরচ বাদে নীট লাভ হয়েছে ১০ হাজার টাকা।এরপরও তারা আরও ২/৩ দফা বেগুন সংগ্রহ করতে পারবে। তাতে তাদের পরবর্তী প্রতি দফাতেই আরও প্রায় একই মানের বাড়তি আয় হবে। নন বিটি বেগুন ক্ষেতে প্রতি হেক্টরে ১৬০ থেকে ১৮০ বার কীটনাশক দিতে হয়। বিটি বেগুন ক্ষেতে তা না দেয়াতে আবাদে খুবই কম খরচ হয়েছে। যে কারণে কৃষকও লাভবান হবে আবার ফলনও বেশি পাবে। সফলতা পাওয়ায় জেলার বিভিন্ন এলাকার চাষীরা আগামী বছর এই জাতের বেগুন চাষে আরও উৎসাহিত হবেন এমনই আশা করেন কৃষিবিদ মো. আজাহার আলী মন্ডল এবং পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান। এসএস/এআরএস/এমএস