প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নড়াইলের লোহাগড়ায় ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদরাসাছাত্রী (১৪) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষকের সহযোগীরা সেই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করেছে। ওই ছাত্রী বিষয়টি তার অভিভাবককে জানালে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের নুরুজ্জামান মল্লিকের ছেলে মুজাহিদ মল্লিক (১৭) ওই ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
তবে সে মুজাহিদের প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৬ এপ্রিল দুপুরে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে মুজাহিদ ও তার সহযোগী জিসান, সজিব, চঞ্চল ও রোমান জোর করে ধরে নিয়ে চান মিয়া শরিফের বাগানে নিয়ে যায়। পরে মুজাহিদ তাকে ধর্ষণ করে।
এ সময় মোজাহিদের সহযোগী চার বন্ধু ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে। ঘটনাটি প্রকাশ করলে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে বলে মুজাহিদ ওই ছাত্রীকে হুমকি দেয়। পরে ওই ছাত্রী বিষয়টি তার অভিভাবককে জানালে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এদিকে, ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য মল্লিকপুর ইউপি মেম্বর আ. হাইয়ের নেতৃত্বে দুইজন কথিত সাংবাদিকের সহযোগিতায় একটি মহল গত ১৮ এপ্রিল রাতে শালিস বৈঠকের আয়োজন করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শালিস বৈঠক পণ্ড হয়ে যায়।
লোহাগড়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
লোহাগড়ার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। তদন্ত চলছে। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টাও চলছে।
হাফিজুল নিলু/এএম/আরআইপি