মাগুরা পৌরসভাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই জেলা প্রশাসকের কাছে ভিক্ষা চাইলেন ক্যান্সার আক্রান্ত এক বিধবা নারী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রশাসকের কক্ষের বারান্দায় ধরনা দিয়ে কোনো প্রকার সহযোগিতা পাননি ক্যান্সার আক্রান্ত রোকেয়া বেগম (৪৭)। পরে সেখান থেকে ফিরে আসেন তিনি। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই পৌরসভাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
অসুস্থ শরীর নিয়ে দীর্ঘক্ষণ প্রশাসকের কক্ষের বারান্দায় অপেক্ষার পর রোকেয়া বেগম চোখের জল মুছে আবার রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে জেলা প্রশাসকের পিয়ন বাদশা হোসেন ১০০ টাকা ভিক্ষা দেন রোকেয়াকে।
পথচারী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জাগো নিউজকে জানান, রোকেয়া বেগম দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছেন। তার চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হওয়ায় তিনি ভিক্ষা করে অর্থ জোগাড় করছেন। বাকি কিছু অর্থের অভাবে নিজের চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
তার স্বামী বেশ কয়েক বছর আগেই মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তার স্বামী এক প্রতিবন্ধী ছেলেসহ তিন শিশুসন্তান রেখে যাওয়ায় রোকেয়া বেগমের ভাগ্যের চাকা উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করে। ফলে বাধ্য হয়েই ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নেন রোকেয়া।
রোকেয়া বেগমের কাছে তার পরিচয় জানতে চাইলে তার মুখ দিয়ে অঝোরে রক্ত ঝরতে থাকে। তিনি কিছুই জানাতে পারেননি।
ওই সময় তার প্রতিবন্ধী ছেলে রকি জাগো নিউজকে জানায়, তারা ওয়াবদা মসজিদের পেছনে মামুনের বাড়ি ভাড়া থাকেন। অন্যান্য ছেলে মেয়ে ছোট হওয়ায় তাদের কাছ থেকেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মাগুরার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ মাহবুবর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি অফিসে গেলেও দেখা করার সম্মতি মেলেনি এই প্রতিবেদকের।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার স্থানীয় আছাদুজ্জামান অডিটোরিয়ামে মাগুরার জেলা প্রশাসক মাহবুবর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে মাগুরা পৌরসভাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করেন।
মো. আরাফাত হোসেন/এএম/আরআইপি