গোল মরিচ এটি লতাজাতীয় উদ্ভিদ, যার ফলকে শুকিয়ে মসলা হিসাবে ব্যবহার করা হয়। গোল মরিচ ফলটি গোলাকার, ৫ মিলিমিটার ব্যাসের, এবং পাকা অবস্থায় গাঢ় লাল বর্ণের হয়ে থাকে। এর মধ্যে ১টি মাত্র বিচি থাকে।গোল মরিচ গাছের আদি উৎস দক্ষিণ ভারত। পৃথিবীর উষ্ণ ও নিরক্ষীয় এলাকায় এটির চাষ হয়ে থাকে। গোল মরিচের গুঁড়া পশ্চিমা (ইউরোপীয়) খাদ্যে মসলা হিসাবে ব্যবহার করা হয় প্রাচীন কাল থেকে। তবে ভারত বর্ষের মসলাধিক্য রান্নায় এটির ব্যবহার প্রচুর। এছাড়া ঔষধী গুণাগুণের জন্যেও এটি সমাদৃত। গোল মরিচে পাইপারিন নামের রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, যা থেকে এর ঝাঁঝালো স্বাদটি এসেছে।গোল মরিচের শুধু তরকারির স্বাদ বৃদ্ধিই করে না,ইহা রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিষেধকেরও ভূমিকা রাখে।আর্য়ুবেদ মতে,গোল মরিচ কফ ও বায়ুনাশক,রুচি বৃদ্ধি করে,কৃমি নাশ করে।পানিতে এর গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে আমাশয়ে উপকার হয়। দাঁতের রোগের জন্য লবণ ও গোল মরিচ র্চূণ মিশিয়ে দাতঁ মাজলে ভাল হয়। গরম দুধে গোল মরিচ আর চিনি মিশিয়ে খেলে সর্দিকাশি সারে।গোল মরিচ হজমে,জ্বরে,পেটে গ্যাস দূর করতে উপকারী।গোলমরিচে যথেষ্ট পুষ্টিগুণ রয়েছে। এতে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। খাদ্যোপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম গোল মরিচের- প্রোটিন ১১.৫ গ্রাম,ফ্যাট ৬.৮ গ্রাম,শকর্রা ৮৯.২ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৮৬০ মি.গ্রাম, ফসফরাস-১৯৮ মি.গ্রা, আয়রণ-১৬.৮ মি.গ্রা, ভিটামিন ‘এ’১৮০০ আইইউ,ভিটামিন বি১-০.০৯ মি.গ্রা,ভিটামিন বি২-০১.৪ মি.গ্রা.ও নিয়াসিন ১.৪ মি.গ্রাম। তবে এই পুষ্টিমান গোল মরিচের জাত ও উৎপাদনের স্থানের তারতম্যের জন্য কিছুটা পরিবতর্ন হতে পারে।এইচএন/আরআই