দেশজুড়ে

মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

নরসিংদী সদর উপজেলার শীলমান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. হান্নান হত্যাকাণ্ডের পলাতক আসামিদের গ্রেফতার, দ্রুত বিচার ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলার বাদী ও পরিবারের লোকজন।

শনিবার দুপুরে শেখেরচরস্থ মুক্তিযোদ্ধার নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নিহতের একমাত্র ছেলে হুমায়ূন কবীর রাসেল।

এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাবার হত্যার চার বছর পর পুলিশ সম্প্রতি হত্যাকারীদের শনাক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। কিন্তু পলাতক ও কিছু আসামি জামিনে বের হয়ে আমার পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। তাদের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। একজন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্য হয়েও সারাক্ষণ আতংকে ঘরে বন্দি হয়ে থাকতে হচ্ছে।

তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। এসময় তার পরিবারের সদস্যসহ জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৫শে এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন শীলমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যন ও সদর থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নান। পথিমধ্যে গনেরগাঁও গ্রামের করিম মিয়ার নির্মাণাধীন বাড়ির কাছে নির্জন জায়গায় পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা তার গতিরোধ করে। ওই সময় অতর্কিত সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে হত্যা করে।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে হুমায়ূন কবীর রাসেল বাদী হয়ে তার চাচা বোরহানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

থানা পুলিশ ও সিআইডির পর সম্প্রতি তদন্তের ভার পড়ে পুলিশ ব্যুরো আব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপর। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত মাসে আদলতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে পিবিআই পুলিশ। কিন্তু কালো টাকার প্রভাবে অভিযোগ পত্র (চার্জশিট) থেকে বাদ পড়ে যায় হত্যার সঙ্গে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ আসামিরা।

ত্রুটিপূর্ণ অভিযোগ পত্র উল্লেখ করে নারজি দেয় বাদী। এরই মধ্যে জামিন প্রাপ্ত ও পলাতক আসামিরা মামলা তুলে নিতে বাদীকে অব্যাহত ভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। অব্যাহত হুমকির হাত থেকে বাঁচতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় দুই দফায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে।

এতেও ক্ষান্ত হয়নি। পলাতক আসামিরা তার উপর হামলা চালায়। জীবন বাঁচাতে এখন গৃহবন্দি হয়ে জীবনযাপন করছেন ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের লোকজন। আগামী ১৫ই মে পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদনের কথা রয়েছে।

সঞ্জিত সাহা/এফএ/জেআইএম