দেশজুড়ে

‌‘আমরা আ.লীগ কর্মী, আমাদের বাঁচান প্রধানমন্ত্রী’

নরসিংদীর গাবতলীর উত্তরপাড়ায় সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানা থেকে আবু জাফর মিয়া নামের এক ছাত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা করেছেন।

নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে গতকাল শনিবার রাতে আবু জাফর মিয়া লিখেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাদের বাঁচান। আমরা নিরপরাধ। আমরা আওয়ামী লীগের কর্মী। আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার। প্লিজ, আমাদের বাঁচান। আমরা সাধারণ ছাত্র। প্লিজ, আমাদের উদ্ধার করুন। প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবু জাফর মিয়া নরসিংদী সরকারি কলেজের ছাত্র। নিজেকে নিরপরাধ দাবি করে তিনি গতকাল শনিবার রাতে আরেকটি পোস্টে লেখেন, ‘সাংবাদিক ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্যারদের উদ্দেশ করে বলছি, আমরা নিরপরাধ। আমরা কখনও শিবির, জঙ্গিবাদ সম্পর্কে ভালো করে জানিও না। প্লিজ, আপনারা আমাদের সার্চ করুন। দেখুন কিছু পান কিনা। আমরা নিরপরাধ। বাইরে থেকে আমাদের ছিটকিনি লাগানো। প্লিজ, ছিটকিনি খুলে আমাদের উদ্ধার করুন।’

গতকাল সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। বর্তমানে র‌্যাব ও পুলিশ আস্তানা সন্দেহে বাড়িটি ঘিরে রেখেছে। বাড়ির ভেতর চার-পাঁচজন থাকতে পারে বলে র‌্যাব ধারণা করছে। বাড়িটির ৫০০ গজ এলাকাজুড়ে গতকাল রাত ১১টার দিকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল।

এদিকে রোববার সকালে বাড়িটির ভেতরে অবস্থান করা পাঁচ যুবক আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানায় র‌্যাব। রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে পরপর পাঁচ যুবককে ওই বাড়ি থেকে বের করে মাইক্রোবাসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় র‌্যাব।

র‌্যাব ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঈন উদ্দিনের বাড়ির কাছে নরসিংদী জামেয়া কাশেমিয়া মাদরাসা। সালাউদ্দিন নামের ওই মাদরাসার কামিল শ্রেণির একজন ছাত্র পরিচয় দিয়ে চলতি মাসের ৩ তারিখ মঈন উদ্দিনের বাড়িটি ভাড়া নেয়। এরপর ওই বাড়িতে সালাউদ্দিন চার-পাঁচজন নিয়ে বসবাস করে আসছে।

অভিযান শেষে র‌্যাবের মিডিয়া উইং মুফতি মাহামুদ বলেন, যুবকদের আত্মসমর্পণ করানোই ছিল আমাদের মূল উদ্দেশ্য। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় নেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। অভিযান সম্পর্কে তিনি বলেন আতিয়া মহলের জঙ্গিদের সঙ্গে এখানকার আটকদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।

এএম/জেআইএম