ঝিনাইদহ শহরের হামদহ খন্দকার পাড়ায় পুলিশ কনস্টেবল হানজালা হাসানের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী লামিয়া নুরকে (২২) হত্যার অভিযোগ উঠছে।
নিহত লামিয়া নুর পিরোজপুর জেলা শহরের সি এ ই পাড়ার কালাম শেখের মেয়ে এবং পিরোজপুর সোহরাওয়ার্দী কলেজের ডিগ্রি শেষ বর্ষের ছাত্রী।পুলিশ কনস্টেবল হানজালা হাসান ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনে কর্মরত আছেন।
নিহত লামিয়ার চাচা আলম শেখ জানান, প্রায় এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক করে ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি উত্তরপাড়ার মৃত হামিদ সর্দ্দারের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল হানজালা হাসানের সঙ্গে পিরোজপুর জেলা শহরের সি এ ই পাড়ার কালাম শেখের মেয়ে লামিয়া নুরের বিয়ে হয়। এরপর তারা ঝিনাইদহ শহরের খন্দকারপাড়ায় ভাড়া করা বাসায় বসবাস করছিল। বিয়ের পর থেকেই স্বামী হানজালা হাসান যৌতুকের দাবিতে লামিয়ার ওপর অত্যাচার করে আসছিল।
তিনি বলেন, শনিবার হানজালা হাসানের অত্যাচারে লামিয়া জ্ঞান হারালে তার গলায় রশি দিয়ে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। পরে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আনা হয়। এরপর রাতে আমরা জানতে পারি লামিয়া মারা গেছে।
ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি লামিয়া আত্মহত্যা করেছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষেই জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
আহমেদ নাসিম আনসারী/আরএআর/পিআর