পেট্রোবাংলার নিয়মনীতি মেনেই যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি শেভরনকে চীনের হিমালয় এনার্জির কাছে মালিকানা হস্তান্তর করতে হবে। আগে যেভাবে ইউনিকল ও অক্সিডেন্টাল তাদের সম্পদ বিক্রি করে দেশ ছেড়েছে, এবার সে রকম সুযোগ যেনো শেভরন না পায়।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি জানান শেভরন বাংলাদেশ এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম আজিম ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আবেদীন। এসময় সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পদক রিশতিয়া সিরাজ, কার্যনির্বাহী সদস্য তারেক রবিন, মেহেদি হাসানসহ ঢাকা অফিস ও শেভরনের ৩টি ফিল্ডের দেড় শতাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম আজিম বলেন, মালিকানা পরিবর্তন সম্পর্কিত কর্মীদের ঝুঁকি, চাকরির অনিশ্চয়তা, অর্জিত গ্রাচুইটি এবং বঞ্চিত ডব্লিউপিপিএফ (বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ মোতাবেক শ্রমিক মুনাফা অংশগ্রহণ তহবিল এর ৫ শতাংশ অংশ) এর বিষয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কোম্পানির অংশগ্রহণ এবং অনতিবিলম্বে আশু সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উল্লেখ্য, শেভরন চীনের হিমালয় এনার্জির কাছে তাদের বাংলাদেশের সম্পদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঝেনহুয়া অয়েল ও বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান সিএনআইসি করপোরেশনের কনসোর্টিয়ামই হলো হিমালয় এনার্জি। শেভরন বাংলাদেশের ব্লক ১২তে বিবিয়ানা, ব্লক ১৩তে জালালাবাদ ও ব্লক ১৪তে মৌলভীবাজার গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন যে গ্যাস উত্তোলন করে তা দেশে দৈনিক উত্তোলিত গ্যাসের ৫৫ শতাংশ। এখন বাংলাদেশে গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে প্রায় দুই হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। শেভরনের সঙ্গে সম্পাদিত অংশীদারি চুক্তি (পিএসসি-প্রডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট) অনুযায়ী, গ্যাস ক্ষেত্র বিক্রি করতে চাইলে পেট্রোবাংলার অনুমোদন দরকার। এ ছাড়া গ্যাস ক্ষেত্র কিনতে আসা কম্পানির আর্থিক এবং কারিগরি যোগ্যতা যাচাই করা হয়।--খবর বিজ্ঞপ্তি
এমএএস/পিআর