বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ্র জ্যোতি টিকাদার ও আবু সাঈদ কনকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবিতে বুধবার বুয়েট প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় বুয়েট শহীদ মিনার চত্বরে ছাত্রলীগ আয়োজিত এক সংহতি সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ।বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ্র জ্যোতি টিকাদার ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদের আজীবন বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় নিয়ে মন্তব্যকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের অপসারণের দাবিতে বুয়েট শহীদ মিনারে গণসংহতি ও সমাবেশ করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সোমবার বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে এ কর্মসূচি।সংহতি সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, আপনারা যে আচরণ করছেন, তা কোনো শিক্ষকদের আচরণ নয়, দলীয় ক্যাডারদের আচরণ। অবিলম্বে বিতর্কিত ওই শিক্ষককে অপসারণ ও গ্রেফতার এবং বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না হলে লাগাতার অবরোধে যাওয়া হবে।বুয়েট প্রশাসনের কাছে ছাত্রলীগের দাবি সমূহের মধ্যে রয়েছে-১. বুয়েটের বির্তকিত শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে অবিলম্বে বুয়েট থেকে বহিস্কার ও গ্রেফতার করতে হবে।২. বুয়েট সভাপতি শুভ্র জ্যোতি টিকাদার, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ কনক, প্রতীক দত্ত এবং সাকলাইন রাতুলের শাস্তি প্রত্যাহার করতে হবে।৩. অধ্যাপক মাহাবুবুর রাজ্জাক, অধ্যাপক বদিউজ্জামান ( সদস্য পে-কমিশন), অধ্যাপক আতাউর রহমান, অধ্যাপক রাজিয়া সুলতানা এবং সহযোগী অধ্যাপক স্নীগ্ধা আফসানাকে বুয়েট প্রশাসন থেকে চির দিনের জন্য প্রত্যাহার করতে হবে।৪. বুয়েট উপাচার্য, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা পরিহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।৫. বুয়েট নজরুল হলের ছাত্র আরিফ রায়হান দীপ হত্যার তদন্ত রির্পোট প্রদান ও খুনিদের ফাঁসির দাবিতে বুয়েট প্রশাসন থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।সংহতি সমাবেশে সঙ্গে প্রকৌশল পরিষদ, কৃষিবিদ অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, জাসদ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র সমিতিসহ ঢাকা শহরে ছাত্রলীগের বিভিন্ন সংগঠন সংহতি প্রকাশ করেন।এমএইচ/আরএস/আরআই