নরসিংদীর শিবপুরে নিখোঁজের তিনদিন পর সৈয়দ সারোয়ার জাহান জুয়েল (৩২) নামে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার উপজেলার কোদালকাটা গ্রামের একটি মুরগির বর্জ্যের ভাগাড় থেকে তার বস্তাবন্দী মরদহে উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত শনিবার (২৭ মে) বাড়ি থেকে নৌকাঘাটা বাজারে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন।
নিহত জুয়েল উপজেলার ছোটাবন গ্রামের মৃত সৈয়দ মো. রফিকুল ইসলাম রবির ছেলে। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত জুয়েলের স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত আব্দুর কুদ্দুসের ছেলে আব্দুল কাদির মেম্বারকে (৬০) প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে শিবপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ মামলার আসামি আব্দুল কাদির মেম্বার, তার মেয়ের জামাই নরসিংদী শহরের ভেলানগর গ্রামের লিটন (৩৭) এবং ছোটাবন্দ গ্রামের আনোয়ারকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে।
নিহতের স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ৬ মাস পূর্বে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আমার স্বামী আবদুল কাদির মেম্বারকে মারপিট করেছিল। তারই প্রতিশোধ নিতে সে আমার স্বামীকে হত্যা করে মরদেহ গুম করে। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই।
শিবপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, নিহত জুয়েলকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে বস্তার মধ্যে ভর্তি করে মুরগির বর্জ্যের ভাগাড়ে গুম করা হয়েছিল। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটে।
সঞ্জিত সাহা/এএম/এমএস