আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল ভ্যাটিকান

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল ভ্যাটিকান সিটি।  ভ্যাটিকানের পোপ ফ্রান্সিস এ স্বীকৃতি দেন। খবর বিবিসি। খবরে বলা হয়, এক বছর আগে ভ্যাটিকানের পোপ ফ্রান্সিস তিন দিনের এক রাষ্ট্রীয় সফরে ফিলিস্তিন গিয়ে দেশটিকে স্বীকৃতি দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। সে আশ্বাসের ভিত্তিতেই এবার দেশেটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভাটিকান।বুধবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া বিষয়ে পোপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভ্যাটিকান ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। দেশটির কর্মকর্তারা জানান, তারা ইসরাইলের আগ্রাসনে হতাশ। ইসরাইল আসলে শান্তি চায় না, তাই আমরা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য নতিপত্র ঠিক করতে শুরু করেছি। খুব তাড়াতাড়ি তা সাক্ষর করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হবে।ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ওই আলোচনায় পোপ বলেছিলেন, ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের সম্পর্ক উন্নয়নে ২০ বছর ধরে কাজ করছে ভ্যাটিকান। কিন্তু সেখানে ঊনিশ শতকে থেকে যে যুদ্ধ চলছে সেই যুদ্ধে সেখানকার নাগরিকদের অধিকার ক্যাথোলিকদের অধিকার ভয়ংকর কতকগুলো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।এদিকে প্রভাবশালী প্রত্রিকা নিউইউর্ক টাইমস জানায়, আসলে ইসরাইলের হামলার হাত থেকে ফিলিস্তিনদের  রক্ষার জন্য ভ্যাটিকান এই স্বীকৃতি দিচ্ছে না। অনেকেই হয়তো ভুলে গেছে ইসরাইলের দখলে থাকা জেরুজালেম খ্রিস্টানদেরও পবিত্র নগরী। আর সেই পবিত্র মাটিতে খ্রিস্টানরা খুব সহজে যাতে আসতে পারে সেই জন্যই এই স্বীকৃতির আয়োজন। কারণ জেরুজালেম ইসরাইলের দখলে থাকলেও জায়গাটির দখল ফিরে পেতে মাঝে মাঝেই ফিলিস্তিন নাগরিকরা হামলা চালায়।এদিকে, ভাটিকানের এই ঘোষণা ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। আর এ বিষয়ে গত এক বছর ধরে ইইউয়ের পার্লামেন্টে আলোচনা হয়েছে। শুধু ইইউ পার্লামেন্টেই নয় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট, আয়ারল্যান্ড, স্পেন এবং ফ্রান্সেও আলোচনা চলছে।জেআর/আরআইপি