নীলফামারীর ডোমার থানার ওসির অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সম্মিলিত শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। রোববার দুপুরে ডোমার শহরের স্থানীয় শহীদ ধীরাজ-মিজান স্মৃতি পাঠাগার মিলনায়তনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।সম্মিলিত শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ওয়াদুদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আখতারুল ইসলাম, ট্রাক ট্যাংক, লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মেরাজুল হক, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, ডোমার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ময়নুল হক মনু, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান রিমন, নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।বক্তাদের অভিযোগ, ডোমার থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ডোমার উপজেলায় গডফাদারে পরিণত হয়েছে। সত্যকে মিথ্যা, আর মিথ্যাকে সত্য বলে সাধারণ মানুষকে হয়রানি সহ ঘুষ গ্রহণের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। তার একের পর এক ঘুষ বানিজ্যে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।বক্তারা আরো বলেন, মিথ্যে বাল্য বিয়ের ঘটনা নিয়ে পুলিশ শুক্রবার (১৫ মে) রাতে অভিযান চালায় ডোমার পৌরসভার চিকনমাটি সবুজপাড়া গ্রামে। সেখানে উপস্থিত হয়ে পুলিশ গ্রামে ছামিউল আলমের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের বাল্য বিয়ের উড়ো খবরে উক্ত মহল্লায় অতর্কিতভাবে লাঠিচার্জ শুরু করে। এসময় উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক নেতা ও ডোমার পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হক লাঠি চার্জের কারণ জানতে চাইলে তার উপরও পুলিশ নির্যাতন শুরু করে।এসময় শ্রমিক নেতা একরামুল হক (৪৫) সহ ছামিউল ইসলাম (৪০) ও রেজাউল করিমকে (৩২) পুলিশ আটক করে থানা নিয়ে গিয়ে বেধরকভাবে পেটায়। এতে একরামুল হক জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে শনিবার সকালে পুলিশ আটক তিনজনকে বাল্য বিয়ের অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউর রহমানের কাছে নিয়ে গিয়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে জেল হাজতে পাঠায়।বক্তরা আরো বলেন, যেখানে বাল্য বিয়ে কেন কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানই ছিল না। সেখানে পুলিশ গিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় সাধারণ মানুষজনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। বক্তারা ডোমার থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে অপসারণসহ তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দ্রুত দাবি জানান। না হলে কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে ডোমার উপজেলাকে অচল করার আল্টিমেটাম ঘোষণা দেন তারা।জাহেদুল ইসলাম/এসএস/আরআই