জাতীয়

মানবপাচার রোধে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে সরকার : শ্রমপ্রতিমন্ত

মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ সরকার পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে বলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটকে জানিয়েছেন শ্রমপ্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। রোববার সচিবালয়ে এক বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে এ কথা জানান তিনি। সচিবালয়ে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বৈঠক করেন শ্রমপ্রতিমন্ত্রী ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত। এ সময় মানবপাচার রোধে সরকারের করণীয় ও মানবপাচার কেন হচ্ছে, তা জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। এ সময় মার্কিন দূতাবাসের লেবার অ্যাটাশে, শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপারসহ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে শ্রমপ্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, তিনি বার্নিকাটকে বলেছেন, মানবপাচার আমাদের মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। তবে আমার জানা মতে, মানবপাচার রোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কার্যকর ও যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানবপাচারে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে। শ্রমপ্রতিমন্ত্রী আরো জানান, বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রানা প্লাজার ঘটনা তদন্তে শ্রম আইন, পোশাকশিল্প কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন চালুসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। জবাবে তিনি (মন্ত্রী) বলেন, পোশাক কারখানাগুলো পরিদর্শনে পরিদর্শক নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের ৪০ দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে শ্রম আইনের অধীনে শ্রমবিধি প্রণয়ন সম্পন্ন হবে।শ্রমপ্রতিমন্ত্রী মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জানান, যেসব কারখানায় শ্রমিকরা শর্তপূরণ করতে পারছেন, সেখানে ট্রেড ইউনিয়নের সুযোগ পাচ্ছ্নে। তিনি বলেন, জিএসপি সুবিধা বাতিল করায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। বাংলাদেশ যাতে জিএসপি সুবিধা পায়, সে জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চান তিনি। জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, জিএসপি তার হাতে নয়। বাংলাদেশ পোশাক খাতের উন্নয়নে অনেক উদ্যোগ নিয়েছে, যা সন্তোষজনক। এটা জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে সহায়ক হবে। এ সময় তিনি মানবপাচারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে একত্রে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।এসকেডি/বিএ/আরআইপি