জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা বলেছেন, দেশ এবং সমাজকে কিছু দিতে চাইলে আগে নিজেকে বিকশিত করতে হবে। প্রজ্ঞা, মেধা, মননের সমন্বয়ে অধ্যবসায় কাজে লাগিয়ে গুণিজনেরা স্ব-মহিমায় আলোকিত হয়েছেন। তাদের পথ অনুসরণে সুপ্ত মেধা বিকশিত করে জ্ঞানের দ্যুতি ছড়াতে হবে চারিধারে। তবে মনে রাখতে হবে, বিকশিত হওয়া মানে জন্মস্থানকে ভুলে যাওয়া নয়। কারণ অতীত মানুষকে বন্ধুর পথ মাড়াতে অনুপ্রেরণা যোগায়।ভাষা ও সাহিত্যে একুশে পদক পেয়ে কক্সবাজারকে গৌরবান্বিত করায় তাঁর সম্মানে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনার জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ শিক্ষক মুহাম্মদ আলম। কবির সম্মানে নান্দনিক শারীরিক কসরত প্রদর্শন করে চৌফলদন্ডী খামারপাড়া মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, ‘কবির পরাজয় নেই। মন্ত্রী-এমপির সম্মান ক্ষমতার বদৌলতে আর কবির সম্মান তাঁর সৃষ্টির বদৌলতে। নিজের সৃষ্টি দিয়ে দরিয়ানগরের ভূমিপুত্র জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা আজ বিশ্বময় পদচারণা চালাচ্ছেন। অজপাড়ার এ কৃতিসন্তানের জন্য আজ আমরা গর্বিত।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির হিসেবে রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু তালেব, ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাস্টার আবদুল কাদের, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি নুর ছিদ্দিক, জেলা যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির চৌধুরী হুমু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গিয়াস উদ্দীন।উপস্থিত ছিলেন, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারণ স¤পাদক সাইফুল ইসলাম, ঈদগাঁও ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক তারেক আজিজ, পোকখালী আ’লীগ সভাপতি মোজাহের আহমদ প্রমুখ।পরে অনুষ্ঠানে কবিকে উত্তরিয় পরিয়ে ক্রেস্টসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী তুলে দেন অতিথিগণ।উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ভাষা ও সাহিত্যে একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন বহু কাব্য গ্রন্থের প্রণেতা কক্সবাজারের কৃতি সন্তান পোকখালীর প্রয়াত সেকান্দর সওদাগরের ছেলে জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা।সায়ীদ আলমগীর/এআরএ/আরআইপি