জাতীয়

নতুন বাজেটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকছে না এমপিও পদ্ধতি

নতুন বাজেটে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ/মান্থলি পেমেন্ট অর্ডারে (এমপিও) পদ্ধতি থাকছে না। তবে সরকার থেকে শিক্ষকদের আর্থিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে। এজন্য বাজেটে বরাদ্দেরও কমতি হবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর সূত্র জানায়, এমপিও নীতিমালা সংশোধন করতে মাউশিকে পত্র পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) একটি কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটি তাদের প্রস্তাবনা তৈরি করছে।এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, শিক্ষকদের এমপিও পদ্ধতি আর রাখা হবে না। এ পদ্ধতি বাতিল করা হবে। তার মানে শিক্ষকদের সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে না।সূত্র জানায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত এই নীতিমালার কাজ চলছে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ)-এর শিক্ষক ও কর্মচারীদের এমপিও প্রদান এবং জনবল কাঠামো সম্পর্কিত নির্দেশিকা নামে নীতিমালা সংশোধিত হবে। ২০১০-এর ফেব্রুয়ারিতে প্রণীত এই নীতিমালা একবার সংশোধন হয় ২০১৩ সালের মার্চে। আবারো এই নীতিমালা বড় ধরনের পরিবর্তন করে সংশোধিত হচ্ছে।জানা গেছে, দেশের সিংহভাগ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা বেসরকারি এমপিওভুক্ত। প্রায় ৩০ হাজার প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ৫ লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োজিত। সরকার শিক্ষা বাজেটের একটা বিরাট অংশ এই খাতে ব্যয় করে। বর্তমানে মূল বেতনের শত ভাগ, ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া, ৩০০ টাকা চিকিৎসাভাতা, ২৫ শতাংশ উৎসবভাতা এবং একটা ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়।মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত প্রায় সব সরকারই ক্রমাগত শিক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু এই খাতের কাক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। এর কারণ ক্রটিপূর্ণ নিয়োগ পদ্ধতি। জনবল কাঠামো বলে তেমন কিছু নেই। শুধু নিয়োগ বাণিজ্য করার জন্য প্রয়োজন না থাকলেও স্কুলে শাখা খোলা হয়। কলেজে খোলা হয় নতুন বিষয় বা বিভাগ। ফলে শিক্ষক সংখ্যা বেড়ে যায়। সরকারের ব্যয়ও বাড়ে।জানা গেছে, বিএনপি সরকার নিবন্ধন প্রথা চালু করেছিল। সেটি এখনো চালু আছে। তবে নিয়োগে এটা কোনো টেকসই পদ্ধতি নয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বরং নিয়োগ প্রার্থীদের আরেক ধাপ বেশি ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। আর এইসব প্রতিষ্ঠানে যত বিশৃঙ্খলা সবই নিয়োগকে কেন্দ্র করে। কারণ এমপিওভুক্তিকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠানের কমিটি অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ প্রদান করে থাকে। এতে সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সাথে অযাচিতভাবে শিক্ষক সংখ্যা বাড়ছে।এআরএস/এমএস