দেশজুড়ে

নড়াইলে কাবিন জালিয়াতির অভিযোগ

নড়াইলে কাবিননামা জালিয়াতি করে দেনমোহরের পরিমাণ বাড়িয়ে লেখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে জেলা রেজিস্ট্রার ও জেলা প্রশাসক বরাবর শহীদুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার আলীগঞ্জ গ্রামের মৃত আ. ছবুর শেখের কন্যা মোছা. ছাবরিনা আক্তারের দুইলক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য পূর্বক পঁচিশ হাজার টাকা ওয়াশীল এবং চাহিবা মাত্র একলক্ষ টাকা প্রদান ও পঁচাত্তর হাজার টাকা পরিশোধ উল্লেখ পূর্বক গত বছরের ২৬ অক্টোবর সদর উপজেলার পশ্চিম রঘুনাথপুর গ্রামের শহীদুল ইসলাম নামে এক প্রাইমারি স্কুল শিক্ষকের সঙ্গে বিয়ে হয়।

কিন্তু দাম্পত্য কলহের কারণে ৭ জুলাই সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সভাপতিত্বে ও চেয়ারম্যান চ-বিরপুর ইউনিয়ন এর উপস্থিতিতে এক সালিশ বৈঠক হয়। উক্ত বৈঠকে শহীদুলের স্ত্রী তার সঙ্গে সংসার করবে না বলে জানিয়ে তার দেনমোহর পরিশোধের জন্য পাঁচলক্ষ টাকার একটি কাবিননামার সত্যায়িত কপি উপস্থাপন করেন।

সেই কাবিননামা জালিয়াতির স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে ছেলে পক্ষের অভিযোগ।

কাবিননামা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সেখানে দেনমোহরের দুইলক্ষ টাকার অঙ্কের ২টিকে কাটাকাটি করে ৫ এবং কথায় লেখা দুই শব্দটিকে কোনোভাবে মুছে ফেলে পাঁচ করা হয়েছে। ঘষামাজার কারণে কাবিননামাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এসব বিষয় উল্লেখ করে অভিযোগকারী শহিদুল ইসলাম, নড়াইল সদর উপজেলার সীমানন্দপুর গ্রামের কাজী মকবুল হোসেন ছেলে ম্যারেজ মৌলভী কাজী রকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছেন।

এ প্রসঙ্গে ম্যারেজ মৌলভী কাজী রকিবুল ইসলাম বলেন, আমার কাবিনে কোনো কাটাকাটি নাই্। উভয় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে কাবিন নামার দেনমহোর লেখা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।

হাফিজুল নিলু/এফএ/জেআইএম