জাতীয়

উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের ফেতর দিতে মরিয়া মিয়ানমার

সাগরে ভাসমান অভিবাসীদের নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার মুখে তাদের উদ্ধারে নামে মিয়ানমার। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার দুইশ` জনেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে দেশটি। এরপর বেশ ঘটা করে তা প্রচারও করে তারা। এখন উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের ফেতর দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে দেশটি।এরপরই কথিত এই ‘বাঙালি’ ২০৩ জনকে ‘বাংলাদেশি’ বলে দাবি করে ফেরত পাঠাতে মরিয়া হয়েছে ওঠেছে দেশটি। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের কর্মকর্তারা একদল অভিবাসীকে বাংলাদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন। প্রায় দুই হাজার লোক সাগরে ভাসছে এবং তাদের বড় একটি অংশ মানবপাচারের শিকার বলে মনে করা হচ্ছে।প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সাগরে ভাসা ওই লোকদের বেশির ভাগই মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের মুসলমান রোহিঙ্গা। মিয়ানমার তাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে ‘বাঙালি’ বা ‘বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী’ হিসেবে অভিহিত করে। মিয়ানমারের কর্মকর্তারা বলেছেন, গত শুক্রবার তারা ২০৮ জন অভিবাসীকে সাগর থেকে উদ্ধার করেছেন এবং তাদের সবাই ‘বাংলাদেশি’।তবে এএফপি ওই অভিবাসীদের জাতীয়তা নিশ্চিত করতে পারেনি। মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের দপ্তরের পরিচালক জ তে শনিবার এএফপিকে বলেছেন, আমরা তাদের মানবিক সহায়তা দিচ্ছি। এরপর আমরা তাদের দেশে পাঠাব। ওই ব্যক্তিদের মিয়ানমারে আসা প্রসঙ্গে আমরা বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।এদিকে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানা যায়, সম্প্রতি অভিবাসী সংকট শুরু হওয়ার পর মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশ থেকে বারবার ফোন করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি। আরো একটি দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এমন সমস্যায় পড়েছে। অবৈধ অভিবাসন বা রোহিঙ্গা ইস্যুতে যে দেশকে ডেকেও এত দিন কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি, সেই দেশই এখন নিজে থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তড়িঘড়ি কথিত বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাতে চাচ্ছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায়, বাংলাদেশি হিসেবে নিশ্চিত হওয়া ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকারের ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। তবে নিশ্চিত হওয়ার প্রক্রিয়াটি অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।আরএস