ক্যাম্পাস

ভর্তিচ্ছুর কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান শুভ। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জাব্বার রাজের অনুসারী ও রফিক ভবনের ৩০৭ নম্বর রুমে থাকেন।

আর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নাম আনোয়ার পারভেজ। তিনি রাজধানীর সিটি কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

আনোয়ার পারভেজ জানান, বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-তে ভর্তির জন্য শুভ’র কাছে যান তিনি। এ সময় তাকে হলের রফিক ভবনের ৩০৬ নং কক্ষে জিম্মি রাখা হয়। পরীক্ষার পূর্বে ২০ হাজার এবং ভর্তির পর বাকি টাকা দেয়ার কথা থাকলেও দেখা করতে গেলে সঙ্গে থাকা ২০ হাজারের মতো টাকা এবং মোবাইল ফোন রেখে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন ভর্তিচ্ছু আনোয়ার পারভেজ। এছাড়াও দাবি করা হয় আরও চাঁদা।

এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী বিষয়টি তার মামাকে অবহিত করলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ আলীকে অবহিত করেন বিষয়টি। খবর পেয়ে প্রক্টর আমজাদ আলীর অভিযান চালাতে গেলে আগেই বিষয়টি পালিয়ে যায় জিম্মিকারী ছাত্রলীগ নেতা ও তার সহযোগীরা।

অপহৃত আনোয়ারের মামা মিজানুর রহমান ঘটনার বর্ণনায় হলের ২০৩ নং কক্ষের কথাও উল্লেখ করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই কক্ষটিতে থাকেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক তাশফিক আহমেদ লিমন। সে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এবং হল শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।

মিজানুর রহমান আরও জানান, শুভ সামনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন দিতে পারবে- এমন কথা বলে আনোয়ারকে হলে ডেকে নিয়ে যায়। বুধবার দুপুর ১টার দিকে কথা অনুযায়ী হলে গেলে শুভ তার সঙ্গে থাকা ২০ হাজার (কলেজে ভর্তির জন্য বাসা থেকে নেয়া) টাকা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। আটকে রেখে আরও টাকা দাবি করে। না দিলে আটকে রাখবে এমন হুমকি দেয়। পরে বিষয়টি প্রক্টর স্যারকে জানালে তিনি তাদেরকে ধরতে যান। খবর পেয়ে আগেই তারা পালিয়ে যায়।

শুভ’র বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ গত কয়েকটি ভর্তি পরীক্ষার সময়ও জালিয়াতির দায়ে আটকদের জবানবন্দিতে উঠে আসে। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নফাঁস সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রক সে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএইচ/বিএ