দেশজুড়ে

ছেলে, নাতি ও পুত্রবধূ মিলে মারলেন মা`কে

মাগুরা সদর উপজেলার জাগলা গ্রামে ছেলেকে সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় ছেলের হামলায় মা সালেহা খাতুন মারাত্মক জখম হয়েছেন। এ সময় সালেহা খাতুনকে তার পুত্রবধূ ও নাতিও মারধর করেছে।

গতকাল সোমবার এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে সালেহা খাতুন মাগুরা আদালতে মামলা একটি দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ মামুন আসামিদের গ্রেফতারের জন্য ওয়ারেন্ট ইস্যুর আদেশ দিয়েছেন।

এদিকে মামলা হওয়ার পরও আসামিরা সালেহা খাতুনের নলকূপ খুলে নেয়াসহ ঘরের মালামাল নিয়ে গেছেন। আসামিরা খুন ও গুমের হুমকিসহ নানাভাবে ক্ষয়-ক্ষতির পায়তারা করে আসছেন বলে সালেহা খাতুন জানান। 

সালেহা খাতুন জানান, উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জমিজমা বিক্রি করে স্বামীর গ্রামে জমি কিনে বসবাস করে আসছেন তিনি। সালেহা খাতুনের বর্তমানে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়েকে মায়ের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে সমুদয় সম্পত্তি ছেলে আলমগীর একা গ্রাস করার জন্য নানা চক্রান্ত করে আসছিলেন। এরই সূত্র ধরে ছেলে আলমগীর হুমকি-ধামকি দিয়ে সালেহা খাতুনের কাছ থেকে দানপত্র দলিল লিখে নেন। কিছুদিন পর সুযোগমতো মা সালেহা খাতুন উক্ত দানপত্র দলিল বাতিল রদ ও রহিত করেন। এ ঘটনায় ছেলে আলমগীর, নাতি মামুন ও পুত্রবধূ পারভীন আরো ক্ষিপ্ত হন। তারা সালেহা খাতুনকে নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকেন। পুনরায় দানপত্র দলিল রেজিস্ট্রি করে দেয়ার জন্য এবং মা সালেহা খাতুন ও বাবা আকামত হোসেনকে বসত-বাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য হুমকি ধামকি অব্যাহত রাখেন। এরই জের ধরে সোমবার সকালে ছেলে আলমগীর ও তার স্ত্রী সন্তান সুপরিকল্পিতভাবে সালেহা খাতুনের উপর হামলা করেন। আলমগীর, মামুন, পারভীন ঘিরে ধরে সালেহা খাতুনকে বেদম মারপিট করে স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেন। প্রতিবেশীরা আহত সালেহা খাতুনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। মো. আরাফাত হোসেন/এমজেড/পিআর/ এমএএস