বিনোদন

নেলসন ম্যান্ডেলাকে আমি গান শুনিয়েছি : ফকির আলমগীর

‘একবার নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে দেখা করেছি। আমার স্ত্রীও ছিল সঙ্গে। আমার জীবনে এটা অন্যতম সৌভাগ্য। আমি তাকে জড়িয়ে ধরেছি। হোটেল শেরাটনে দেখা হয়েছিল। তিনি একটি বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তাকে নিয়ে একটা এবং বর্ণবাদ নিয়ে একটা গানও বেঁধেছিলাম। গানটি তাকে শুনিয়েছিলাম। তিনি আনন্দিত হয়েছিলেন।’

শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে জাগো নিউজের ফেসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় গণশিল্পী ফকির আলমগীর। তিনি ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তার এই সংগঠন আন্তজার্তিকতাবাদে বিশ্বাসী। এই দায় থেকে দুজন মন্ত্রীকে নিয়ে গেল ১৮ জুলাই ছিল নেলসন মেন্ডেলার ৯৯তম জন্মদিন পালন উৎসব। আগামীতে মহা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকীও পালন করবেন বলে জানান তিনি।

গুণী সংগীতশিল্পী গায়ক পরিচয়ের বাইরেও একজন সফল সমন্বয়ক। তিনি ঋষিজ শিল্প গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা, সংগীত শিল্পি সমন্বয় পরিষদের উপদেষ্টা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি, গণ সংগীত শিল্পী পরিষদের সভাপতি। জীবনের প্রথম দিকে তিনি গান করতে  রবীন্দ্র-নজরুলের। এরপর গণমানুষের গান করতে শুরু করেন। কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ পেয়েছেন একুশে পদক এবং জসীম উদ্দিন স্বর্ণপদক।

নিজের গান সম্পর্কে গণসংগীতের এই শিল্পী বলেন, ‘‘আমার গানের কোনো ভৌগলিক সীমারেখা নেই। মালালা ইউসুফজাইকে নিয়ে আমি গেয়েছি, দ. আফ্রিকার নেলসন মেন্ডেলাকে নিয়েও গেয়েছি। সবগুলো গান সুপার ডুপার হিট হয়েছে। আমার গানের শ্রোতা শ্রমজীবী মানুষ তো আছেই, তারপর মধ্যবিত্ত, দুর্যোগগ্রস্ত সবাই আমার গান শোনেন। তাছাড়া আমার গানগুলো জীবনমুখী এবং জীবনবাদী। আমার গানের মূল কথা হচ্ছে, সবার উপর মানুষ সত্য।’

সবশেষে ফকির আলমগীর বলেন, ‘যতদিন দেহে প্রাণ থাকবে ততদিন আমি গণ মানুষের জন্য গেয়ে যাব। আমি ঋণি থাকবো আমার গ্রামের কাছে, শিক্ষকের কাছে, ঢাবির সাংবাদিকতা বিভাগের কাছে। এছাড়া এদেশের সংস্কৃতিমনা মানুষের কাছে। আমার সকল ভালোবাসা মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিতে চাই। কারণ মানুষ আমাকে অনেক বড় আসন দিয়েছেন।’

এনই/এলএ/জেআইএম