২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের আগে থাইল্যান্ডে কোন নির্বাচন হবে না বলে জানিয়েছেন থাই জান্তা। বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সামরিক জান্তা।এ খবরের ফলে দেশটির জেনারেলরা খুব দ্রুত বেসরকারি সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে বলে যে আশা তৈরি হয়েছিল তা ধূলিসাৎ হয়ে গেল।গত মে মাসে এক সামরিক অভ্যূত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে তৎকালীন সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চ্যান-ও-চা বলেছিলেন, আগামী ১৫ মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।তবে জান্তা সরকারের সংবিধান পুনর্লিখনের উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের সময়সীমা বারবার পিছিয়েছে। সংবিধান পুনর্লিখনের উদ্যোগকে থাই রাজনীতিতে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রণ আরো সুদৃঢ় করার প্রচেষ্টা হিসেবে সমালোচকরা মনে করেন।ব্যাংককে জাতিসংঘ দূতের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রায়ুতের বৈঠকের পর জান্তা মুখপাত্র কর্নেল ওয়েরাচন সুকোনহাপতিপক সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে নির্বাচন করা যাবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশা করেন।জান্তা এর আগে বলেছিল, ২০১৬ সালের মাঝামাঝির শুরুর দিকে নির্বাচন হতে পারে। গত মে মাসে থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী নির্বাচিত ইংলাক সিনাওয়াত্রার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এর আগে কয়েক মাসের সহিংস বিক্ষোভে তার প্রশাসন প্রায় অচল হয়ে পড়েছিল।আরএস/আরআই