রাজধানীর দক্ষিণখান ও মতিঝিল থেকে দুই মানবপাচারকারী চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। রোববারের এ অভিযানে ১৮ জন ভুক্তভোগীকেও উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম।সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।তিনি বলেন, এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে দক্ষিণখানের আশকোনা বাজারের একটি হোটেল থেকে ১৭ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং গোলাম রাব্বানী ও শাহাদাত হোসেন নামের দুই সদস্যকে আটক করা হয়। এসব ভুক্তভোগীকে অস্ট্রেলিয়ার দীপরাষ্ট্র পালাউয়ে পাঠানোর উদ্দেশ্যে হোটেলে আটকে রাখা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, পালাউয়ে যেতে কোন ভিসা লাগে না। এ কারনেই প্রথমে এদের পালাউয়ে নিয়ে গিয়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল তাদের।নাজমুল আলম আরো জানান, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ৭ লক্ষ করে টাকা নিয়েছিল জিএলসি প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। পুলিশের অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহামুদুর রহমান ও ম্যানেজার বাবুল হোসেন, ক্যাশিয়ার মাহফুজুর রহমান, মাহাবুব ও ওবাইদুর পালিয়ে যায়।প্রতিষ্ঠানটি ভূক্তভোগীদের উচ্চ বেতনের লোভ দেখিয়ে বিদেশে পাঠানোর নামে নিলেও সঠিক সময়ে পাঠাতে পারেনি। ঘটনাটি কবির আহমেদ নামের একজন ভুক্তভোগীর সন্দেহজনক মনে হলে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে বলে জানান নাজমুল আলম।অপরদিকে মতিঝিলের ফকিরাপুলের জি-ন্যাট টাওয়ারের সামনে থেকে সফিকুল ইসলাম নামে আরো এক মানবপাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে।জেইউ/জেআর/এমএস