লাইফস্টাইল

হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়

যাদের হাঁপানি হয়ে থাকে দেখা যায় তারা মাঝরাতে কিংবা ভোরের দিকে ঘুম ভেঙে বিছানায় উঠে বসে থাকে এবং সে সময় তাদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এসব রোগীর আশপাশে যারা থাকেন তারা শুনতে পান রোগীর বুকের ভিতর শোঁ-শোঁ শব্দ হচ্ছে। তখন এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মনে হয় যে, তার দম বন্ধ হয়ে আসছে।যাদের মাঝে এ রোগটি নতুনভাবে উপস্থাপিত হয় তাদের দিনের যে কোন সময় হঠাৎ করে হতে পারে। বিশেষ করে সাধারণত ভোরের দিকে বেশি শুরু হয়। দেখা যায়, প্রথমদিকে হালকা শ্বাসকষ্ট এবং তা বেশিরভাগ সময় ক্ষণস্থায়ী হয়। এক্ষেত্রে কতগুলো লক্ষণ দেখা যায়, যথা- ক্রমাগত হাঁচি, নাক বা চোখ দিয়ে পানি পড়া, নাক-চোখ-মুখ চুলকানো ইত্যাদি। বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনে এগুলো বেশি চোখে পড়ে। আজকাল হাঁপানি জাতীয় চিকিৎসায় নতুন কৌশল এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ক্রনিক বা পুরনো হাঁপানি রোগীদের ক্ষেত্রে এক ধরনের পরিকল্পনা মাফিক চিকিৎসা এবং নতুন আক্রান্ত হাঁপানির রোগীর ক্ষেত্রে অন্য ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। শিশু বা বয়স্কদের মাঝে হঠাৎ মারাত্মক হাঁপানি দেখা দেয়া রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। ইনহেলার জাতীয় ওষুধ শ্বাসনালীর মাধ্যমে কাজ করে দ্রুত এবং কাজ করার জন্য ওষুধ লাগে অল্প পরিমাণে। ইনহেলার ব্যবহার করার পরও যদি শ্বাসকষ্ট বাড়ে তখন খাবারের সাথে বড়ি খেতে হবে। আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষের ধারণা ইনহেলার হলো হাঁপানি রোগের শেষ চিকিৎসা। আমাদের অনেকের ধারণা ইনহেলার একবার ব্যবহার করলে ভবিষ্যতে আর কোন ওষুধ কাজ করবে না। ডাক্তারী ভাষায় ইনহেলার হলো এই রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা। এ ওষুধ সঠিকভাবে নিতে পারলে শ্বাসকষ্ট কমতে সময় লাগে ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা। সঠিক পদ্ধতিতে ইনহেলার ব্যবহারের পরও যদি রোগীর শ্বাসকষ্ট না কমে তবে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।নেবুলাইজার : নেবুলাইজার হলো এক ধরনের বিশেষ যন্ত্র যার ভেতরে তরল ওষুধ দিয়ে যন্ত্রের মোটর চালু করলে তা বাষ্পাকারে বের হতে থাকে। এ জাতীয় ওষুধ শ্বাসের সাথে নিলে অল্প সময়ে দ্রুত ফল পাওয়া যায়। যাদের হঠাৎ হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় তাদের এ যন্ত্রটি ঘরে রাখা উচিত। হঠাৎ আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে নেবুলাইজারের মাধ্যমে সালবুটামল বা টারবুটানিল ব্যবহার করা যেতে পারে এবং মুখের খাওয়ার জন্য স্বল্প মেয়াদে উচ্চ মাত্রায় প্রেডনিসোলন প্রয়োগ করতে হবে। হঠাৎ আক্রান্ত হাঁপানি রোগীকে জরুরি চিকিৎসা দিতে হবে। শিশুদের হাঁপানি রোগ হলে মুখে মাস্ক ব্যবহার করে অথবা নেবুলাইজারের মাধ্যমে সালবুটামল দিতে হবে এবং সম্ভব হলে অক্সিজেন দিতে হবে। প্রেডনিসোলন বড়ি গুলিয়ে দিতে হবে ১-২ মিলি গ্রাম দৈনিক একবার ৫ দিন। এমাইনোফাইলিন টেবলেট বা ইনজেকশন শিশুদের বেলায় ব্যবহার করা উচিত নয়।এইচএন/এমজেড/পিআর