পানি নামতে থাকায় শেরপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। শেরপুর-জামালপুর সড়কের পোড়ার দোকান কজওয়ের (ডাইভারশন) পানি কমায় আট দিন বন্ধ থাকার পর বুধবার দুপুর থেকে এ সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
বন্যার পানি কমলেও এখনও সদর উপজেলার আটটি ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা জানান, চলতি বন্যায় সদরের প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমির আমন আবাদ, বীজতলা ও সবজির আবাদ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানি পুরোপুরি নেমে যাওয়ার পর ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব পাওয়া যাবে। তবে কৃষকদেরকে বন্যা পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে মাঠপর্যায়ে অবহিতকরণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, শেরপুরে চরাঞ্চলের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা পুলিশ। বুধবার বিকেলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সদর উপজেলার চরপক্ষিমারি ও চরমুচারিয়া ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০০ মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এসব ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৫ কেজি করে চাল, ২ কেজি চিড়া, এক কেজি গুড়, দিয়াশলাই, মোমবাতি ও খাবার স্যালাইন।
পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন ও অপারেশন) মো. মোখলেছুর রহমান এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
স্থানীয় মুকসুদপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মো. রফিকুল হাসান গণি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু এবং জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কমিউনিটি পুলিশিং সংগঠক ও সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
হাকিম বাবুল/এএম/জেআই্এম