অবশেষে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়শালে মনি বিশ্বাস (১৮) নামে এক তরুণীকে গলা কেটে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বুধবার দুপুরে আবুল কাশেম নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবুল কাশেম জানিয়েছেন, বন্ধুদের নিয়ে ধর্ষণে ব্যর্থ হওয়ায় মনি বিশ্বাসকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
ঘোড়শাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ মো. গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটক আবুল কাশেম ঘোড়াশাল উত্তর চরপাড়া এলাকার শেখ মো. ইমান আলীর ছেলে। তিনি ওমেরা পেট্রোলিয়াম কোম্পানির পলাশ কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।
পুলিশ জানায়, আবুল কাশেম দীর্ঘদিন যাবত হিন্দু পরিচয়ে মনি বিশ্বাসের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। হত্যার দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে মনি বিশ্বাসকে দেখা করার কথা বলে ঘর থেকে বের করে বাড়ির পাশের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় আবুল কাশেম। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা তার তিন বন্ধুকে নিয়ে আবুল কাশেম মনি বিশ্বাসকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মনি বিশ্বাস চিৎকার দিলে কাশেম তার মুখ চেপে ধরে। এতে মনি বিশ্বাস অচেতন হয়ে পড়েন। পরে লোক জানাজানির ভয়ে তাকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
পলাশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের আবুল কাশেম হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও নিহত মনি বিশ্বাসের মোবইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত বাকী আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ, গত ২১ আগস্ট সোমবার সকালে পলাশ থানা পুলিশ ঘোড়াশালের পাইসকা এলাকার নিশি কান্ত বিশ্বাসের মেয়ে মনি বিশ্বাসের গলাকাটা মরদেহ বাড়ির পাশের একটি সবজির মাচার নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।
সঞ্জিত সাহা/আরএআর/এমএস