মাগুরার একমাত্র শিশু পার্কটি এখন পরিণত হয়েছে ভাগাড়ে। শিশুদের পরিবর্তে এখন সেখানে বসে মদ, গাঁজা আর ফেন্সিডিলের আসর। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ নতুন পার্ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও হচ্ছে হবে বলে কাটিয়ে দিচ্ছেন যুগের পর যুগ। শিশুদের মিলছে কেবল আশার বাণী। মাগুরার শিশুরাতো দূরের কথা পৌরসভায় কর্মরত অনেকেই জানেন না তাদের একটা পার্ক আছে। এটি এখন পৌরসভার স্টোর এবং নেশাখোরদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অবশিষ্ট সৌর্ন্দয্যটুকুও। দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে কাউন্সিলরদের যোগসাজশে কেটে নিয়ে যাচ্ছেন পার্কের মূল্যবান গাছ। কর্তৃপক্ষ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার এক কর্মচারি জাগো নিউজকে জানান, সন্ধ্যায় পার্কটি ভূতুড়ে পরিবেশে পরিণত হয়। বসে মদ,গাঁজা আর ফেন্সিডিলের আসর। ফলে ২-১ জন দর্শনার্থী আগে আসলেও এখন আর চোখে পড়ে না। তিনি আরো জানান, কর্তৃপক্ষের দ্বারা কোনো প্রকার বাঁধা না পাওয়ার কারণে নেশাগ্রস্থরা হরহামেশাই ইচ্ছা-খুশিমতো যা খুশি তাই করছেন।এসব বিষয়ে পৌরসভার মেয়র ইকবাল আখতার খান কাফুরের কাছে জানতে চাইলে তিনি নানা সমস্যা ও অপরাগতা স্বীকার করলেও শোনালেন আশার বাণী।অন্যদিকে, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী মেজর জেনারেল এম মজিদ উল হকের সময় নবগঙ্গা নদীর অতিরিক্ত রেগুলেটরির উপর ১৯৯৫ সালে একটি মিনি পার্ক নির্মাণ করা হলেও এখন সেটিরও বেহাল দশা। পার্কটি এখন শুধুমাত্র কালের সাক্ষী। পার্কে ঘুরতে আসা মজিদ হোসেন নামের এক দর্শনার্থী জাগো নিউজকে জানান, কালেভদ্রে পার্কে ২/১জন ছেলে-মেয়েকে দেখা গেলেও তারা গরু, ছাগল আর স্থানীয় গরুর মালিকদের ভয়ে স্বাচ্ছন্দে পার্কে আসতে পারছেন না।এলাকাবাসীর দাবি পার্ক দুটি যদি সঠিকভাবে পরিচর্যা ও তত্বাবধায়ন করা হয় তাহলে কবি ফররুখ আহম্মেদ, কবি কাজী কাদের নেওয়াজ, রাজা সীতারাম রায়ের রাজধানী, দুধ সাগরসহ পাল বংশের জমিদার বাড়ির জেলা মাগুরা হয়ে উঠতে পারে একটি পর্যটন নগরী। মাগুরার সিনেমা হলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া ও পার্ক দুটি অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে বর্তমানে মাগুরায় একটি পার্কের দাবি মাগুরাবাসীর প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।জিকে প্রকল্পের আওতায় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড মাগুরা অফিস প্রাঙ্গণ থেকে পার্কটির দূরত্ব ১০০ গজ। কিন্তু তারপরো বেহাল দশা পার্কটি যেন কর্তৃপক্ষের চোখেই পড়ছে না। পার্কটি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (পওর বিভাগ) মো. আব্দুল লতিফ জাগো নিউজকে নানা সমস্যা ও প্রতিকূলতার কথা।জানান। মো. আরাফাত হোসেন/এমজেড/এমএস