শেরপুরে শ্রীবরদীর সীমান্তবর্তী রাঙাজান গ্রামের একটি ধান খেতের পাশ থেকে বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় লোকজনের নিকট থেকে সংবাদ পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করেন।
বন বিভাগের শ্রীবরদীর বালিজুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডের খুব কাছে পাহাড়ি জঙ্গলের ধারে একটি ধানখেতের পাশে বন্যহাতির মরদেহটি পাওয়া যায়।
ওই বন কর্মকর্তা বলেন, মৃত হাতিটি দাঁতওয়ালা পূর্ণবয়স্ক একটি পুরুষ হাতি। লম্বায় প্রায় ১২ ফুট হবে। খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কিংবা অসুস্থ হয়ে অথবা ভারতীয় প্রান্তে কোনো ধরনের আঘাতের কারণে হাতিটি মারা যেতে পারে। ময়নাতদন্তে হাতিটির মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বিকেলে পুলিশ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। পরে ঘটনাস্থলের পাশেই হাতির মরদেহদেহটি গর্ত করে পুতে ফেলা হয়। এ সময় ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য মৃত হাতির হৃৎপিন্ড, ফুসফুস, পাকস্থলি ও শরীরের কিছু অংশ সংরক্ষণ করা হয়।
এদিকে স্থানীয় একটি সূত্রে জানা যায়, পাহাড় থেকে প্রায় ২৫/৩০টি বন্যহাতির দল কয়েকদিন ধরে লোকালয়ে নেমে এসে কৃষকদের উঠতি পাকা ধানখেতে তাণ্ডব চালাচ্ছে। বন্যহাতির আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার জন্য কৃষকরা হাতি তাড়াতে জেনারেটর দিয়ে বৈদ্যুতিক ফাঁদ তৈরি করেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে একদল হাতি পাহাড়ের ঢালে আবাদ করা ধানখেতে নামলে সেই ধরনের একটি বিদ্যুতের ফাঁদে ‘শক’ খেয়ে বন্যহাতিটির মৃত্যু ঘটে। বন্যহাতির দলটি বর্তমানে রাঙাজান এলাকার পাশের পাহাড়েই অবস্থান করছে বলে স্থানীয় অধিবাসীরা জানিয়েছেন।
রাঙাজান এলাকার বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ফের রাতের আঁধারে বন্যহতির দল পাহাড় থেকে লোকালয়ে নেমে এসে তাণ্ডব চালাতে পারে বলে হাতি আতংকে রয়েছে এলাকার লোকজন।
হাকিম বাবুল/আরএআর/জেআইএম