বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ি ইউনিয়নে রঘুনাথপুর গ্রামে যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ২০০ মিটার ধসে গেছে। একই সঙ্গে যমুনা পাড়ের ১০টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে পানির প্রবল স্রোতে ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এলাকায় এই ভাঙনের ঘটনা ঘটে।ধুনট উপজেলার যমুনা পাড়ের ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল জাগো নিউজকে জানান, রঘুনাথপুর গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙন ঠেকাতে গত ২০০৯ সালে ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। প্রকল্পের কাজের মধ্যে যমুনা নদীর পাড় ঢালু করে জিও টেক্স বিছানোর পর তার ওপর সিসি ব্লক বসানো হয়।নির্মাণের পর থেকে পানির প্রবল স্রোতে প্রতিবছর দফায় দফায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় এ প্রকল্প। এ প্রকল্পের অনেক স্থান থেকে সিসি ব্লক নদীগর্ভে বিলীন হয়। কিন্ত তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্থ স্থান দীর্ঘ দিনেও মেরামত করেনি পাউবো কর্মকর্তারা।গত কয়েক দিন ধরেই যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। পানি বাড়ার সঙ্গে প্রবল স্রোতে ঘূর্ণাবর্তে পড়ে ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ২০০ মিটার যমুনা নদীতে ধসে যায়। ধসের সঙ্গে সঙ্গেই রঘুনাথপুর গ্রামের কৃষক সোহরাব আলী, আব্দুল কাদের, জহির উদ্দিন, ছোবাহান আলী, আলতাব হোসেন, ছানোয়ার হোসেন, রেনু বেগম, আব্দুল কাদের, রানা ও সোহেলের ঘর বাড়ি যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে যায়।এছাড়া আরও ১০-১২টি পরিবারের বসতভিটা ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। যমুনা নদীর ভাঙন ধেয়ে আসছে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের দিকে। ভাঙন আতঙ্কে যমুনা পাড়ের লোকজন ঘরবাড়ি নিয়ে নিরাপদ আশ্রয় নিচ্ছেন।বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল মোত্তালেব এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, যমুনা নদীর ভাঙন স্থানে জরুরিভাবে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর ব্যবস্থা করা হবে।লিমন বাসার/এমজেড/আরআই