ধর্ম

নামাজে ‘রাব্বানা লাকাল হামদ’ বলার ফজিলত

নামাজ ইসলাম প্রধান ইবাদত। ইসলামের রোকনগুলোর মধ্যে ঈমানের পরেই নামাজের স্থান। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের অনেক জায়গায় নামাজের নির্দেশ প্রদান করেছেন। আর পরকালে আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম নামাজের হিসাব গ্রহণ করবেন। নামাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত লাভের ইবাদত।

বান্দা নামাজ আদায় করার জন্য যেমন সাওয়াব পাবেন। ঠিক নামাজের অন্যান্য রোকনগুলো যথাযথ আদায়ে পাবেন অতিরিক্ত সাওয়াব। যার মধ্যে একটি রুকু সেজদা থেকে ওঠার পর তাসবিহ পাঠ। হাদিসে এসেছে-

হজরত রিফাআহ বিন রাফে যারক্বি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘আমরা নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পেছনে নামাজ পড়ছিলাম। প্রিয়নবি যখন রুকু থেকে মাথা ওঠালেন, তখন তিনি বললেন, ‘সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ’। এ সময় তাঁর পেছন থেকে এক ব্যক্তি বলে ওঠল, ‘রাব্বানা লাকাল হামদু হামদান কাছিরান, তাইয়্যেবান মুবারাকান ফিহ’। অর্থাৎ ‘হে আমাদের পালনকর্তা! তোমারই জন্য যাবতীয় প্রশংসা, অজস্র পবিত্রতা ও বরকতপূর্ণ প্রশংসা)।

নামাজ শেষ করে (প্রিয়নবি) বললেন, ‘ঐ জিকির কে বলল?’ লোকটি বলল, ‘আমি’। তিনি (প্রিয়নবি) বললেন, ‘ঐ জিকির প্রথমে কে লেখবেন, তা নিয়ে ত্রিশ অধিক ফেরেশতাকে প্রতিযোগিতা করতে দেখলাম।’ (মুয়াত্তা মালেক, বুখারি, আবু দাউদ, নাসাঈ)

অন্য হাদিসে এসেছে-হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল বলেন, ‘যখন ইমাম সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলে, তখন তোমরা ‘আল্লাহুম্মা লাকাল হামদ’ বল। কারণ যার ঐ (জিকির) বলা ফেরেশতাদের বলার সঙ্গে মিলে যায়, ওই ব্যক্তির পেছনের পাপসমূহ মাফ হয়ে যায়।’ (মুয়াত্তা মালেক, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ, আবু দাউদ)

উল্লেখিত হাদিসের আলোকে নামাজের রুকু সেজদা থেকে ওঠে সোজা হয়ে উল্লেখিত তাসবিহ যথাযথ আদায় করে হাদিসে ঘোষিত ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর