মতামত

শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নয়ন

দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় নানা পরিবর্তন এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এখন পঞ্চম শ্রেণি এবং ৮ম শ্রেণিতেই শিক্ষার্থীদের দু’টি পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে। এরপর এসএসসি ও এইচএসসি তো রয়েছেই। প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। শেষ হবে ২৬ নভেম্বর। অন্যবারের মতো এবারও পরীক্ষার সময় আড়াই ঘণ্টা করা হয়েছে। প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনীতে এবার প্রায় সাড়ে ২৮ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।

একবিংশ শতাব্দীর এ যুগে শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হওয়ার মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব উদ্ভাবনী শক্তির উন্মেষ ঘটানো। মুখস্থ বিদ্যার শিক্ষা যে এই যুগে অচল সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। গাইড নির্ভর শিক্ষাও কোনো কাজের কথা নয়। এছাড়া পুঁথিগত বিদ্যার বাইরেও শিক্ষার যে অনেক বিষয় ও পদ্ধতি আছে সেটিও মনে রাখা দরকার। এছাড়া পরীক্ষার্থীদের ভাল ফলই বড় কথা নয় এর সাথে মানের দিকটাও দেখতে হবে।

দুঃখজনক হচ্ছে ক্ষুদে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রশ্নও অনেক সময় ফাঁস হচ্ছে। এ ব্যাপারে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হলে তাদের মনোবল ভেঙে যাবে। পরীক্ষার ফলাফলেও যার প্রভাব পড়তে বাধ্য। এ ব্যাপারে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।

শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নয়ন ছাড়া একটি জাতির কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব নয়। এ জন্য শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। আশার কথা হচ্ছে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া কমছে এবং ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাতও সামঞ্জস্যপূর্ণ। সময়মত পরীক্ষা হচ্ছে। এবং নির্দিষ্ট সময়েই এর ফলাফলও প্রকাশিত হচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে এই অসাধ্য সাধন সম্ভব হচ্ছে। তবে মনে রাখা রাখতে হবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে শিক্ষার মূল লক্ষ্য যেন ব্যাহত না হয়। পরীক্ষার্থীদের প্রতি রইলো আমাদের শুভকামনা।

এইচআর/জেআইএম