দেশজুড়ে

রাষ্ট্রায়ত্ত টেক্সটাইল মিল গেল ব্যক্তি মালিকানায়

এবার ইজারায় ব্যক্তি মালিকানায় উৎপাদনে যাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত সুতা উৎপাদনকারী কারখানা রাঙ্গামাটি টেক্সটাইল মিল। দীর্ঘদিন লোকসান দিয়ে চালানোর পর মিলটি চুক্তিতে ইজারায় দিয়েছে সরকার। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পুনরায় উৎপাদন শুরু করেছে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের রফিক অ্যান্ড ব্রাদার্স।

সোমবার দুপুরে কারখানায় সুতা উৎপাদনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। এ সময় রফিক অ্যান্ড ব্রাদার্স’র পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জালাল আহমদ, মিলের ব্যবস্থাপক (মিলিং) মো. নুরুল ইসলাম, কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম চৌধুরীসহ মিলের অন্য কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

কর্তৃপক্ষ জানায়, সুতা উৎপাদনকারী এই রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা রাঙ্গামাটি টেক্সটাইল মিলটি স্থাপিত হয় ১৯৭৬ সালে জেলার কাউখালী উপজেলার ঘাগড়ায় প্রায় ২৭ একর জমিতে।

বর্তমানে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ রয়েছে এই মিলে। শুরু থেকে লোকসানের মুখে দফায় দফায় বন্ধ রাখতে হয়েছে মিলটি। ফলে অনেক সময় কষ্টে পড়তে হয় কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় গেলে মিলে কর্মরত প্রায় ৪০০ কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের স্বার্থে সিস্টেম লস দিয়ে পুরোদমে চালু করা হয় মিলের উৎপাদন। পরে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় গেলে মিলটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।

এরপর ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে শ্রমিক, কর্মচারীদের স্বার্থে আবার লোকসান দিয়ে উৎপাদন চালু করা হয়। লোকসান থেকে বাঁচতে সর্বশেষ তিন বছরের জন্য ইজারার চুক্তিতে ব্যক্তি মালিকানায় হস্তান্তর করা হয় রাষ্ট্রায়ত্ত রাঙ্গামাটি টেক্সটাইল মিল।

উৎপাদন কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেন, বিএনপির আমলে মিলটি তিন বার বন্ধ করে দেয়া হয়। আমরা ক্ষমতায় গিয়ে শ্রমিক, কর্মচারীদের স্বার্থে লোকসান দিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম চালু করি। তাদের স্বার্থে সরকার মিলটি ইজারা চুক্তিতে ব্যক্তি মালিকানায় ছেড়ে দিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির মালিকানার পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজি জালাল আহমদ বলেন, মিলে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। পুরোদমে উৎপাদন সম্ভব হলে মিলটি অবশ্যই লাভজনক প্রতিষ্ঠানে দাঁড় করানো যাবে। মিলটিকে লাভজনক করা গেলে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তারা বাঁচবেন। আর আমরাও লাভের মুখ দেখতে পাব। সেই আশায় আমরা মিলের ইজারা নিয়েছি। এ জন্য সবক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

মিলের ব্যবস্থাপক (মিলিং) নুরুল ইসলাম বলেন, সরকার আগে মিলটি লোকসান দিয়ে চালিয়েছে। চলতি নভেম্বর থেকে ব্যক্তি মালিকানায় ইজারা দিয়েছে সরকার।

সুশীল প্রসাদ চাকমা/এএম/আইআই