দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট। আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকে এখানে। আর এ সুযোগে ঘাট এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী চক্র।ঈদের এখনো ১০-১২দিন বাকী। এরই মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই ঘাট দিয়ে পার হওয়ার সময় যাত্রীদের ব্যাগ, মানিব্যাগ, মুঠোফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিচ্ছে ছিনতাইকারী ও পকেটমারা।একাধিক যাত্রীরা বলেন, ঘাটের নিরাপত্তা আরো জোরদার করা উচিত। আমরা অনেক কষ্ট করে রোজগার করে বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আনন্দে ঈদ উদযাপন করব। কিন্তু ছিনতাইকারী ও পকেটমারের কবলে পড়ে আমাদের সে আশাটুকু তাও বিলীন হয়ে যায়।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যারা লঞ্চ পারাপার হয়ে দূরপাল্লার বাসযাত্রী তাদের লঞ্চ থেকে নেমে অনকেটা পথ হেঁটে বাসে উঠতে হয়। আর ছিনতাইকারী চক্র ঠিক ওই মুহুর্তকে কাজে লাগিয়ে তাদের স্বার্থ হাসিল করে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক জানান, দৌলতদিয়া ঘাট ও আশপাশ এলাকার উঠতি বয়সী শিশু-কিশোর ও তরুণরা ঘাট ও বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।তারা আরো বলেন, যাত্রীরা অনেক দূর-দুরান্তের হওয়ায় ঝামেলা এড়াতে পুলিশে অভিযোগ করেন না। কিন্তু এই ছিনতাই ও পকেটমার চক্রের সদস্যরা প্রতিনিয়তই পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও চক্রটি থেমে নেই।এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম নাসির উল্লাহ জানান, ঈদে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ছিনতাইকারী ও পকেটমারদের তৎপরতা বেড়ে যায়। এ বিষয়ে পুলিশের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। ব্যাগ টানাটানি নিয়ে কয়েকদিন আগে তিনজনকে ধরে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হওয়ার কথা শোনার পর ছিনতাইকারী চক্রের মধ্যে সারা পড়েছে। আশা করি ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবে। তবে সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সব সময় প্রস্তুত। রুবেলুর রহমান/এসএস/আরআইপি