দেশজুড়ে

তিন সাংবাদিকের মামলা প্রত্যাহারের দাবি আরইউজের

রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) কমিশনারের ঘোষণা এবং স্পষ্ট অঙ্গীকারের পরও কর্মরত তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা কয়েক মাসেও প্রত্যাহার না করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে)। মামলাগুলো প্রত্যাহার না করায় বিচলিত আরইউজে।সোমবার সংগঠনটির সভাপতি আকবারুল হাসান মিল্লাত ও সাধারণ সম্পাদক মামুন-অর-রশিদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।বিজ্ঞপ্তিতে আরইউজে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার আনু মোস্তফা, দৈনিক প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম দুখু ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরাপারসন রায়হানুল ইসলামের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দায়ের করা মামলাগুলো নিয়ে কালক্ষেপণ করছে পুলিশ।আরইউজে মনে করে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে শুধুমাত্র হয়রানির উদ্দেশ্যে দায়ের করা এসব মামলা ঝুলিয়ে রেখে ভুক্তভোগী তিন সাংবাদিকসহ রাজশাহীর সাংবাদিকদের চাপের মধ্যে রাখার কৌশল নিয়েছে পুলিশ।আরইউজে নেতৃবৃন্দ ধারাবাহিকভাবে এসব মামলার তদন্তের অগ্রগতি ও তিন সাংবাদিকের নাম মামলা থেকে প্রত্যাহারের ব্যাপারে যোগাযোগ করলে বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তার পাশাপাশি একেক সময় একেক ধরনের কথা বলা হচ্ছে। রাজশাহীর সাংবাদিক ইউনিয়ন বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ আরএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা রাজশাহীর সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশাসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে আরএমপির কমিশনার মো. শামসুদ্দিন তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তিসহ সাংবাদিকের নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। কিন্তু গত কয়েক মাসেও পুলিশ কমিশনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষণা বাস্তবায়ন হয়নি।এর পরিপ্রেক্ষিতে আরইউজে মনে করে সুষ্ঠু পরিবেশে হওয়া সমঝোতা বৈঠকের ঘোষণা আরএমপি কর্তৃপক্ষ দ্রুত বাস্তবায়ন করে রাজশাহীর সাংবাদিক সমাজের সঙ্গে পুলিশের পারস্পারিক পেশাগত সম্পর্ক ও আস্থাকে আরো নিবিড় করবে।  অন্যথায় ন্যায় সঙ্গত দাবি আদায়ে আরইউজে সাংবাদিক সমাজকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।শাহরিয়ার অনতু/এআরএ/পিআর