কম্বোডিয়ার সঙ্গে নয়টি সমঝোতা স্মারক এবং একটি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। সোমবার সকালে কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করা হয়। এসব চুক্তি ও সমঝোতার আওতায় বাণিজ্য-বিনিয়োগ, পর্যটন ও তথ্য-প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে দুই দেশ।এসব সমঝোতা ও চুক্তির ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো গতিশীল হবে-এমনটি আশা করা যায়।
২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা, পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা, জয়েন্ট ট্রেড কাউন্সিলের অধীনে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সহযোগিতা, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ এবং রয়্যাল একাডেমি অব কম্বোডিয়ারের মধ্যে একাডেমিক পর্যায়ে সহযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্মৃতিস্তম্ভ এবং স্মৃতি চিহ্ন সংরক্ষণে সহযোগিতা, মৎস্য ও অ্যাকুয়াকালচার খাতে সহযোগিতা, শ্রম ও কারিগরি প্রশিক্ষণ খাতে সরকারি পর্যায়ে সহযোগিতা, বিনিয়োগ প্রসারে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও কাউন্সিল ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব কম্বোডিয়ার মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারকগুলো সই হয়েছে। চুক্তিটি হয়েছে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) এবং কম্বোডিয়ান চেম্বার অব কমার্স’র মধ্যে সহায়তায় বিষয়ে।
এর আগে রোববার কম্বোডিয়া সফরে প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমপেনে স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কম্বোডিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ ছাড়া নমপেনের হোটেল সোফিটেলে এক নৈশভোজে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন হয়েছে। বিশ্ববাসী এখন বাংলাদেশকে ভিন্নচোখে দেখতে শুরু করেছে।
বর্তমান বিশ্ববাস্তবতায় আঞ্চলিক সহযোগিতা ব্যতিরেকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। সেদিক থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কম্বোডিয়া সফর অত্যন্ত সফল ও ইতিবাচক। ব্যবসা-বাণিজ্য, আঞ্চলিক নিরাপত্তাসহ নানাক্ষেত্রে কম্বোডিয়া ভূমিকা রাখতে পারে । এই সফরের মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদার ও গতিশীল হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
এইচআর/আইআই