দেশজুড়ে

সিলেটে তীব্র পানি সঙ্কট : চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ সিসিক

সিলেট নগরে বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। নগরের মোট চাহিদার অর্ধেক পানিও সরবরাহ করতে পারছে না সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। রমজানের শুরু থেকেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত কয়েকটি উৎপাদক নলকূপ ও পাম্প বিকল হয়ে পড়ায় এই সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে নগরজুড়ে খাবার পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথম রোজা থেকে নগরীর রায়নগর, দর্জিবন্দ, দক্ষিণ শাহীঈদগাহ, ঝর্ণারপাড়, রাজবাড়ি, সোনারপাড়া, শ্রাবণীপাড়া, মিরাপাড়াসহ নগরের বেশ কয়েকটি এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার পাম্প বিকল হয়ে পড়ায় পানি উত্তোলন সম্ভব হচ্ছে না।এছাড়া রমজানে বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিদিন নগরের বিভিন্ন এলাকার ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। ট্রান্সফরমার মেরামত করতে ৮-১০ ঘণ্টা থেকে দু’দিন পর্যন্ত সময় নিচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে ওইসব এলাকার পাম্প দিয়ে পানি উত্তোলন করতে পারছে না সিসিক।সিসিক সূত্র জানায়, সিলেট নগরে প্রতিদিন খাবার পানির চাহিদা রয়েছে ৮ কোটি লিটার। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে সিটি কর্পোরেশনের একটি শোধনাগার ও ৩০টি পাম্প দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি লিটার পানি সরবরাহ সম্ভব হয়। এছাড়া কিছু কিছু বাসা-বাড়িতে ব্যক্তি উদ্যোগে গভীর নলকূপ বসিয়ে পানির চাহিদা পূরণ করা হয়। এরপরও প্রতিদিন চাহিদার অর্ধেকের চেয়ে বেশি পানির ঘাটতি থাকে।সূত্র আরো জানায়, রমজানে তারাবির নামাজের সময় সিলেট নগরের বেশিরভাগ মসজিদে এসি চালানো হয়। এতে লোড নিতে না পেরে বিভিন্ন এলাকার সঞ্চালন লাইন ও ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে পড়ে। এর প্রভাব পড়ে পানি উত্তোলনে। বিদ্যুৎ না থাকলে বন্ধ রাখতে হয় সিসিক এর পাম্পগুলো। এতে পানি সঙ্কট আরো প্রকট হয়ে দাঁড়ায়।সিসিক এর প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) নূর আজিজুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, এমনিতেই নগরবাসীর চাহিদার অর্ধেক পানিও সরবরাহ সম্ভব হয় না। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পাম্পগুলো বন্ধ থাকায় পানির সঙ্কট আরো তীব্র হয়েছে। কোথাও আবার পাম্প বিকল হয়ে পড়ছে। এগুলো মেরামত করে পুনরায় পানি সরবরাহ শুরু করা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজনকে সাময়িক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।ছামির মাহমুদ/এমজেড/আরআই