রাঙ্গামাটিতে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার বিলাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান শুভমঙ্গল চাকমা ও তার ছেলেসহ ১৪ জনকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে পরিচালিত অভিযানে রাঙ্গামাটি শহর এবং বিলাইছড়ি উপজেলা সদর হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে হাজির না থাকায় আবার শুনানির পরবর্তী তারিখ মঙ্গলবার ধার্য করেছেন আদালত। রোববার রাঙ্গামাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক জাহিদ আহমদ এ আদেশ দেন।
পুলিশ জানায়, ৫ ডিসেম্বর জেলার বিলাইছড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাসেল মারমাকে নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে বেধড়ক শারীরিক নির্যাতন চালায় দুর্বৃত্তরা।
এতে মারাত্মক আহত হন রাসেল মারমা। একই দিন রাতে জুরাছড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগের সহ-সভাপতি অরবিন্দু চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
এসব ঘটনার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেয়ায় বৃহস্পতিবার ভোরে রাঙ্গামাটি শহরের ভালেদী আদম এলাকায় তার নিজ বাড়িতে ঢুকে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ঝরনা চাকমার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয় তাকে।
এছাড়া ৫ ডিসেম্বর সকালে আরেকটি পৃথক ঘটনায় নানিয়ারচর উপজেলার দজরপাড়ায় অনাদী রঞ্জন চাকমা নামে এক সাবেক ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
আদালত সূত্র জানায়, বিলাইছড়ির রাসেল মারমাকে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় ৭ জন এবং রাঙ্গামাটি শহরের ঝরনা খীসসাকে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় ৭ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
তাদের মধ্যে ঝরনা খীসার মামলায় গ্রেফতারকৃত ৭ জনকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লিমন বোস। কিন্তু পূর্ব নির্দেশিত শুনানির দিন রোববার আদালতে হাজির ছিলেন না দুই মামলার এ দুই তদন্ত কর্মকর্তা।
সুশীল প্রসাদ চাকমা/এএম/জেআইএম