দেশজুড়ে

কাজে আসছে না ৫ কোটি টাকার ফগ লাইট

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের ১০টি ফেরিতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে লাগানো ফগ অ্যান্ড সার্চ লাইট ঘন কুয়াশা ভেদ ব্যর্থ হয়ে পড়েছে। এ রুটে ঘন কুয়াশার কারণে প্রতিনিয়তই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ থাকে ফেরি চলাচল।

২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে ঘন কুয়াশায় চলাচলের জন্য এ রুটে চলাচলকারী ১০টি ফেরিতে পরীক্ষামূলকভাবে লাগানো হয় ফগ অ্যান্ড সার্চ লাইট। যার বেশির ভাগই এখন অকেজো। আর যেগুলো ভালো সেগুলো কুয়াশা ভেদ করতে ব্যর্থ। লাইটগুলো মেরামত বা এ সমস্যা সমাধানে নতুন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, শীতকালে কুয়াশায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া-মাওয়া নৌপথে চলাচলকারী ১০টি ফেরিতে ফগ অ্যান্ড সার্চ লাইট লাগানো হয়। এর মধ্যে ৮টি রো রো ফেরি (বড়) ও ২টি কে-টাইপ ফেরিতে (ছোট) ফগ লাইট লাগানো হয়।

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা জানান, ফগ লাইটগুলো ব্যবহার না হওয়ায় কুয়াশায় দৌলতদিয়া ঘাটে জ্যাম লেগেই থাকে। এতে করে তারা দুর্ভোগে পড়ছেন। কারণ রাতে কুয়াশায় ফেরি বন্ধ থাকলে এই শীতে মাঝ নদীতে বসে থাকতে হয়।

যানবাহনের চালকরা জানান, এতো টাকার জিনিসি কুয়াশা কাটানোর জন্য লাগিয়েছে তাহলে কেন ব্যাবহার হচ্ছে না। এগুলো কাজে লাগিয়ে কুয়াশায় ফেরি চলাচলের উপযোগী করা হলে দৌলতদিয়ায় তাদের শীতের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেরির মাস্টাররা জানান, অতিরিক্ত কুয়াশা পড়লে এ ফগ লাইট কোনো কাজেই আসে না এবং তারা সেটি ব্যাবহারও করেন না। লাইটগুলো শক্তিশালী হলেও অল্প কুয়াশায় আলো ভেদ করে কিন্তু ঘন কুয়াশায় আলো ভেদ করতে পারে না। এ জন্য ঘন কুয়াশায় তাদের ফেরি চলাচল বন্ধ রেখে অল্প কুয়াশার জন্য বসে থাকতে হয়।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া-আরিচা ঘাটের ম্যানাজার মেরিন মো. আব্দুস সাত্তার জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটের ১০টি ফেরিতে ফগ অ্যান্ড সার্চ লাইট স্থাপন করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঘন কুয়াশা থেকে জনগণের দুর্ভোগ কমানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরীক্ষামূলকভাবে ফগ অ্যান্ড সার্চ লাইট স্থাপন করেছে। যে উদ্দেশে লাইটগুলো স্থাপন করা হয়েছে সে উদ্দেশ্যে খুব একটা কার্যকরী হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রুবেলুর রহমান/আরএআর/জেআইএম