ঈদকে সামনে রেখে টঙ্গী-কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল সড়কে বেড়েছে মালবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ ভ্যানের চাপ। আর ঈদে ঘরমুখো যাত্রীবাহী বাসের চাপতো আছেই। যানবাহনের চাপ বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে চালকদের প্রতিযোগিতা। ফলে ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা আর বাড়ছে যানজট। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঘরমুখো মানুষদের। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষকে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেড়েছে যাত্রীবাহী যানবাহনের চাপ। আর সড়কে ছোট ছোট দুর্ঘটনার কারণে বাড়ছে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ। তবে এ সমস্যা সমাধানে স্থানীয় প্রশাসনের কোন উদ্যোগ এখনো চোখে পড়েনি। ফলে যানজটে পড়ে দীর্ঘসময় ধরে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় দেখা যায় টঙ্গী-কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল সড়কে মালবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ ভ্যানের সারিবদ্ধ লাইন। জানা যায়, টঙ্গী-কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল বাইপাস সড়ক হয়ে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম ও বৃহত্তর সিলেটসহ দেশের ৩২টি জেলার যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাক সময় ও দূরত্ব কমানোর জন্য এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে আসছে। যাত্রাবাড়ী হয়ে রাজধানীতে প্রবেশ না করে এ সড়কটি ব্যবহারের কারণে এ সড়কে যানবাহনের চাপও বৃদ্ধি পেয়েছে। মালবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ ভ্যানের প্রতিযোগিতার কারণে প্রতিদিনই সড়কের কোনো না কোনো স্থানে ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে সড়কে প্রায়ই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। আর ঈদের আগে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় যানজটে পড়ে যাত্রীদের ভোগান্তির মাত্রাও বেড়েছে কয়েক গুণ। তবে এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন পবিত্র ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষেরা। দিনের পর দিন এ সমস্যা চলতে থাকলেও সমাধানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নেই কোন উদ্যোগ। ভোগান্তির শিকার সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের মো. ফরহাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, সরকারের কঠিন হুশিয়ারি থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ না থাকা সত্যিই দুঃখজনক ব্যাপার। কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের কারণে টঙ্গী-কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল সড়কে মালবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ ভ্যানের চাপ একটু বেড়েছে। তবে যানজট নিরসনে সড়কের বিভিন্ন স্থানে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।আব্দুর রহমান আরমান/এসএস/আরআইপি