গ্রিসের আইনপ্রণেতারা দাতাদের অনুমোদিত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার প্রস্তাব পাস করেছে। ব্যাপক তর্কবিতর্কের পর বুধবার পার্লামেন্টে এটি পাস হয়।প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের প্রস্তাবিত অজনপ্রিয় প্রস্তাবটি পাস করিয়ে নিতে সমর্থ হলেও বিশ্লেষকরা মনে করছেন এটি বামপন্থী এ সরকারের অবস্থান দুর্বল করবে।এদিকে ঋণদাতাদের প্রস্তাব নিয়ে পার্লামেন্টে যখন বিতর্ক চলছিল, বাইরে তখন বিক্ষোভ শুরু করে ১২ হাজারের বেশি মানুষ। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকটি পেট্রলবোমা ছোঁড়ে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে দাঙ্গা পুলিশ।গ্রিক পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি পাস করা খুব কঠিন হবে বলে অনেকেই ধারণা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পার্লামেন্টে প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট পড়েছে ২২৯ টি। ‘না’ ভোট পড়েছে ৬৪ টি। ছয়জন ভোটদানে বিরত ছিলেন। ‘না’ ভোটের অর্ধেকই এসেছে ক্ষমতাসীন দল থেকে।এদিকে দাতাদের অনুমোদিত আট হাজার ৬০০ কোটি ইউরো নতুন ঋণ-সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রিসকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার আনতে হবে। দেশটির সরকারকে সেবামূলক অনেক খাতে কৃচ্ছ্রতাসাধন করতে হবে। বিভিন্ন খাতে কর এবং অবসরের বয়সসীমা বাড়াতে হবে।যদিও সিপ্রাসের সরকার কৃচ্ছ্রতাসাধনের বিপরীতে অবস্থান নেয়ার অঙ্গীকার করে জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসে। পার্লামেন্টে বিলটি পাসের আগে এক আবেগঘন বক্তৃতায় সিপ্রাস বলেন, আমরা আমাদের অঙ্গীকার থেকে সরে আসিনি। প্রস্তাবের সকল বিষয়ের সঙ্গে আমিও একমত নই। কিন্তু আর কোন উপায় নেই। এর দায় আমাদের সকলকে ভাগাভাগি করে নিতে হবে।এদিকে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের অনেকেই বিলটির বিরোধিতা করেছেন। এদের মধ্যে অন্যতম সাবেক অর্থমন্ত্রী ইয়ানিস ভারুফাকিস, পার্লামেন্ট প্রধান জো কন্সট্যান্টোপোলো এবং জ্বালানি মন্ত্রী পানাগিতোস লাফাজানিস। এছাড়া প্রতিরক্ষা ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের জুনিয়র মন্ত্রীরাও এর বিরোধিতা করেন।এআরএস/আরআই