খেলাধুলা

দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংটাই চ্যালেঞ্জ : হাতুরুসিংহে

দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বমানের বোলিংকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করলেন জাতীয় দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বমানের বোলিং সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের ব্যাটসম্যানরা এই চ্যালেঞ্জকে কীভাবে মোকাবেলা করবে তার ওপরেই নির্ভর করছে ম্যাচের ফলাফল।’বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের উপর আস্থা রেখে কোচ হাতুরুসিংহে জানান, দক্ষিণ আফ্রিকার ২০টি উইকেট নেয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশ দলের রয়েছে।বললেন, ‘বাংলাদেশ তার নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী খেলবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের এখন যে বোলিং আক্রমণ তাতে ২০ উইকেট নেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। আমরা টেস্ট ক্রিকেটও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই।’টাইগার ব্যাটসম্যানরা ছন্দে রয়েছেন তাই এই ম্যাচে ভালো কিছু প্রত্যাশা করছেন তিনি। ‘ইমরুল, তামিম, মুমিনুল বিশ্বামানের ব্যাটসম্যান। এরপর আছে সাকিব, মুশফিক। সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে প্রথম বল থেকেই লড়াই শুরু হয়ে যায়। আমাদের প্রয়োজন সঠিক ভারসাম্য। আগে কী হয়েছে সেটি চিন্তা করে লাভ নেই।’তবে এসজি বলে শেষ দুই দিন রিভার্স সুইং করতে পারে বলে মনে করেন হাতুরুসিংহে। তাই এর প্রভাব খেলায় পড়বে বলেও জানান তিনি। ‘এই টেস্টের শেষ দু`দিনে রিভার্স সুইং একটা প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ এসজি বলে খেলা হবে। এই বল শেষ দিকে রিভার্স সুইং করে।’তরুণ তুর্কি মুস্তাফিজকেও নিয়ে খুব আশাবাদী হাতুরুসিংহে। এছাড়া সাকিব, তাইজুলকে নিয়েও দারুণ আত্মবিশ্বাসী তিনি। ‘মুস্তাফিজ অবশ্যই বাংলাদেশের একটি বড় সম্পদ। বাঁ-হাতি বোলার সবসময়ই আক্রমণের বৈচিত্র্য আনে। আমাদের রয়েছে সাকিব যে বাংলাদেশের সর্বাধিক উইকেট শিকারী। এছাড়া তাইজুল এসজি বলে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে সফল বোলার। এরপর রয়েছে মুস্তাফিজ, রুবেল ও শহীদ। এই বোলিং অ্যাটাক যেকোনো কোচকে আত্মবিশ্বাস করে তুলবে।’উল্লেখ্য, মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।আরটি/বিএ/এমআরআই