দেশজুড়ে

রাঙ্গামাটিতে ৪ দিনব্যাপী বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শুরু ৯ এপ্রিল

রাঙ্গামাটিতে তিন দিনব্যাপী বৈসাবি (বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু) মেলা শেষ হয়েছে। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট যৌথ উদ্যোগে এ মেলার আয়োজন করে। এরআগে বৃহস্পতিবার শহরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী বিজু সাংগ্রাই বৈসুক বিষু মেলা-২০১৮ শুরু হয়।

মেলায় পাহাড়িদের নিজস্ব সংস্কৃতির পোশাক, অলংকার, খাবারসহ বিভিন্ন ব্যবহার্য সামগ্রীর প্রদর্শনী ও বিক্রয় স্টল। প্রতিদিন সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়েছে মঞ্চ নাটক ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া পাহাড়ি শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এরপর রাঙ্গামাটি বিজু, সাংগ্রাইং, বৈসুক, বিষু, বিহু, চাংক্রান-২০১৭ উদযাপন কমিটির উদ্যোগে ৯ এপ্রিল হচ্ছে চার দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার। উৎসব ঘিরে মারমা সস্প্রদায় আয়োজন করছে ঐতিহ্যবাহী পানি খেলা এবং ত্রিপুরা সম্প্রদায় পরিবেশন করবে গড়াইয়া নৃত্য ও বয়স্কদের স্নান করানো।

প্রতি বছর চৈত্রসংক্রান্তিতে বাংলাবর্ষ বিদায় এবং বরণ উপলক্ষে উৎসবটির আয়োজন করে পাহাড়ি জনগণ। পার্বত্য চট্টগ্রামে বাস করা চৌদ্দ পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব এটি। তিন দিনব্যাপী উৎসব পালিত হয় ২৯-৩০ চৈত্র ও পহেলা বৈশাখ। তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু, রাখাইনরা সাংক্রান ও অহমিয়ারা বিহু নামে তিন দিনের উৎসব পালন করে। উৎসবে পরিবেশিত হয় নৃত্য-সঙ্গীতসহ বিনোদনমূলক ও উৎসবপূর্ণ নানা অনুষ্ঠান। পালিত হয় নানা আচার-অনুষ্ঠান।

আরএ/জেআইএম