দেশজুড়ে

নওগাঁয় ১০ টাকা কেজির ১৮ বস্তা চাল জব্দ

নওগাঁর রানীনগরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১০ টাকা কেজির চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে নেয়ার সময় ১৮ বস্তা চাল জব্দ করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভটভটিযোগে চালের বস্তাগুলো অনত্র নেয়ার সময় স্থানীয় জনতা বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রশাসনকে খবর দিলে চালের বস্তাগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আগেই সটকে পড়েন ডিলারের প্রতিবেশী খোকন ও নিলু নামে দুই ব্যাক্তি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের ভাটকৈ বাজারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকাভুক্ত ডিলার মন্টু সিপাই। এপ্রিল মাসের সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণের লক্ষ্যে গত সোমবার রানীনগর খাদ্য গুদাম থেকে ৫১১ বস্তা (প্রতি বস্তা ৩০ কেজি ওজন) চাল উত্তোলন করে দোকান ঘরে রাখেন। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত চাল বিতরণ করা। কিন্তু কয়েকজন সুবিধাভোগী না আসার সুযোগে ১৮ বস্তা চাল পাশের দুইটি দোকান ঘরে রাখা হয়।

এ সময় দোকানের আশপাশে কেউ না থাকার সুযোগে দুপুরে ভটভটি যোগে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে অনত্র নেয়ার চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি স্থানীয়রা আঁচ করতে পেরে চালের বস্তাগুলো আটক করে প্রশাসনকে খবর দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া বিনতে তাবিব পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে চালের বস্তাগুলো জব্দ করেন। পরে জব্দকৃত চালের বস্তাগুলো উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নেয়া হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন কায়দায় চাল পাচার হতো। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১০ টাকা কেজির এ চাল ভালোমানের হওয়ায় ডিলাররা কালোবাজারে বেশি দামে বিক্রি করে দেন। যখন চাল সংকট পড়ে তখন বাজার থেকে কমমূল্যের নিম্নমানের চাল সুবিধাভোগীদের কিনে দেয়া হয়। এছাড়া ওজনে কম দেয়া হয়ে থাকে।

এ ব্যাপারে ডিলার মন্টু সিপাই বলেন, কার্ডধারী সুবিধাভোগীদের মাঝে নিয়ম অনুসারে চাল বিক্রি করা হয়েছে। আমি কোনো অনিয়ম করিনি। তবে ওই সময় আমি দোকানে ছিলাম না। আমার অনুপস্থিতিতে চালগুলো অন্য কোথাও নেয়ার চেষ্টা করা হলে সেটা অন্যায়।

রানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোনিয়া বিনতে তাবিব বলেন, চাল কালোবাজারে বিক্রির জন্য পাচার করা হচ্ছিল- এমন খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চালগুলো উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আব্বাস আলী/আরএআর/এমএস